সদরঘাটের শ্যামবাজার থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র একটি ওয়াটার বাস কেরানীগঞ্জের তেল ঘাটে যাওয়ার পথে নদীতে বালুবাহী বাল্ক হেডের ধাক্কায় উল্টে গিয়ে ডুবে যায়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জনকে জীবিত এবং ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই)রাত সোয়া আটটার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কা লেগেছিল।
নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারুফ জানান, উদ্ধার হওয়া ৬ জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড )হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন ,কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে মোঃ আলিফ(১৪), ঢাকার দোহারের জয় পাড়ার সবুজ মিয়ার ছেলে মোঃ ফাহিম (২৫), এবং অজ্ঞাত পুরুষ (৫০).
তিনি আরও জানান,চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন,সামিরা (১৫), মুনসুর (৩৮) এবং মিমি (১৯)।ওয়াটার বাসটি তীরের কাছাকাছি ডুবে যাওয়ায় বেশ কিছু যাত্রী স্থানীয় নৌকার মাধ্যমে ও সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সমর্থ হয়। এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এঘটনায় বালুবাহী বাল্কহেডটি পুলিশি হেফাজতে আছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্টগার্ডের স্থানীয় ডুবুরী ইউনিটসহ নৌপুলিশের সদস্যবৃন্দ দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস