মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার:
রিট শুনানির একদিন আগেই দেশ ছেড়েছেন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট। রোববার (১৬ জুলাই) হাইকোর্টকে সম্রাটের বিদেশ যাওয়া কথা জানান তার আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।
সম্রাটের আইনজীবী জানান, গতকাল শনিবার রাতে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েই কলকাতা গিয়েছেন তিনি। এসময়, সম্রাট সঠিক সময়ে দেশে ফিরছেন কি না, তা ১ আগস্টের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ১৩ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার সম্রাটের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ১ জুন সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে সম্রাটের পাসপোর্ট আদালত তার জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এই আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত: অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়াও অভিযোগপত্রে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে বলা হয়, সম্রাট ওই টাকা পাচার করেছেন। গত বছরের ২২ মার্চ অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস