খাগড়াছড়ি জেলা সহ দেশের অন্যান্য জেলা থেকে বেড়াতে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমান সম্প্রদায় পর্যটকদের নামায আদায়ের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে ।
দর্শনার্থীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনার বিষয়টি প্রধান্য দিয়ে গত প্রায় একযুগে বিখ্যাত পর্যটন স্পট সাজেকসহ খাগড়াছড়ি সদর এবং আশেপাশের পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ যেভাবে দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে তা সকলে অবগত রয়েছেন বৈকি ।
প্রায় প্রত্যেক পর্যটকদল বা পর্যটক-ই সাজেক ঘুড়ে এসে বিকেলের দিকে বেড়াতে যান রিচাং ঝর্ণা, আলুটিলা গুহা বা আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ও জেলা পরিষদ পার্ক নামের এমন পর্যটন স্পটগুলোতে । সেখানে তারা নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যরে নীলাভুমি রুপসী খাগড়াছড়ির রুপে মুগ্ধ হয়ে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে দেন মনের অজান্তেই । প্রকৃতির এতটা কাছে এসে তারা হারিয়ে যান আপন খেয়ালে দিগন্তের হাতছানিতে । বিকালের এই সুন্দর মনোরম সময়ে আছর, মাগরিব ও এশার নামায আদায়ের তেমন কোন ভালো সুযোগ না থাকায় পর্যটকরা বাধ্য হয়েই অনেকে খোলা আকাশের নীচে নামায আদায় করেন । যা ঝড়-বাদলের দিনে সম্ভব নয় । নামায আদায়ের জন্য যদিও একটি ৩০ বছরের পুরাতন যাত্রী ছাউনিকে বর্তমানে কোন রকমে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কিন্তু উপস্থিত মুসল্লিদের একসাথে নামায আদায়ের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল ।
এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত পর্যটক বা দর্শনার্থীরা মন্তব্য করেছেন । খাগড়াছড়িতে পর্যটকরা যাতে আরো বেশী বেশী ভ্রমন করেন, এ জন্যে নিরাপদ ভ্রমনের পরিবেশ নিয়ে যারা কাজ করছেন-তাদের নিকট আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে একটি মসজিদ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন পর্যটকরা । বিষয়টি এখন যেনো সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে ।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস