গতকাল ২৫শে মার্চ শনিবার সন্ধ্যার একটু পূর্বে মাগুরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়, কোথাও কোথাও বেশ প্রবল বেগে আঘাত হেনেছে এই ঝড়টি ।
আর প্রবল এই ঝড়ে অনেকটা খড় কুটোর মতো উড়ে গেছে মাগুরার আলোকদিয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা খন্দকার জাফর ইকবাল বাপ্পির গরুর খামার। বছর চারেক আগে আলোকদিয়া কৃষি ব্যাংক থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নিজের এক একর কুড়ি শতক জমিতে গরুর খামারের পাশাপাশি ও গরুর খাবার জোগানের জন্য ঘাস ও ভুট্টার চাষ করেছিলেন। এক সময়ের বেকার যুবক এই খামারের উপর ভিত্তি করে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামের আরো ২ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু গতকালের কালবৈশাখী ঝড়ে গরুর গোয়ালের টিনের চাল দুমড়ে মুচড়ে প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে, সেই সাথে ৬৫ শতক জায়গায় লাগানো ভুট্টা গাছ সম্পূর্ণ মাটির সাথে হেলে পড়েছে ও বিনষ্ট হয়েছে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তা বাপ্পির মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে, উচ্চ সুদ সমেত ব্যাংকের লোন নিয়ে এখন চোখের সামনে শুধু অন্ধকার দেখছেন। সরকারি সহযোগিতা না পেলে তিনি হয়তো তার স্বপ্নের এই খামারটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।
বর্তমানে খামারে ৯ টি গরু রয়েছে, খন্দকার জাফর ইকবাল বাপ্পি জানান বাজারে গরুর খাবারের দাম বহুগুনে বেড়ে গেছে, এমতাবস্থায় যদি কৃষি ব্যাংক আমাকে অন্তত সুদও যদি মওকুফ করতে তাহলে এই যাত্রায় খামারটি বন্ধ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতো।
এম/এস