খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার ৪নং মাইসছড়ি ইউনিয়নে গিয়াসউদ্দিন টিলায় রাফিজা বেগম(৩৬) নামে এক নারীকে কুপিয়ে আহত করেছে। কর্তব্যরত পুলিশ টহল দল প্রকৃত আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন(২১) কে রাতেই আটক করতে সক্ষম হন।
এ দিকে পলাতক আলমগীর হোসেন(২১)কে পাশের ৯ নং ওয়ার্ডের একটি আম বাগান থেকে রক্তমাখা জামা পড়া অবস্থায় একটি ছুরিসহ লোকজন আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর নিয়ে জানা যায় আলমগীর হোসেন(২১) নেশাগ্রস্ত। সে এর আগেও তার নিজ আপন বোনকে কুপিয়ে যখম করে এবং তার পরিবার থেকে বলছে সে কিছুটা পাগল।
গুরুতর জখম হওয়া মোছাঃ রাফিজা বেগম(৩৫) ও প্রকৃত আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন(২১) একই এলাকার বাসিন্দা। মোছাঃ রাফিজা বেগম(৩৫),স্বামীঃ-মোঃ নজরুল ইসলাম(৪২),২নং ওয়ার্ড, নুনছড়ি গুচ্ছগ্রাম(গিয়াস টিলা) ,মাইসছড়ি, মহালছড়ি থানা,খাগড়াছড়ি।
মোঃ আলমগীর হোসেন(২১), পিতাঃ- মৃত মোঃ সেকান্দার আলী,২নং ওয়ার্ড, নুনছড়ি গুচ্ছগ্রাম(গিয়াস টিলা) ,মাইসছড়ি,মহালছড়ি থানা,খাগড়াছড়ি।
মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নে গিয়াস টিলা নামক এলাকায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী রাফিজা বেগম(৩৬) কে একই এলাকার মৃত সিকান্দার আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন(২১) কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় এলাকার লোকজনের কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তারা জানান নুরুল ইসলাম চরমোনাই মাহফিল থাকায় তার দোকানটি তার মা আহত রাফিজা বেগমের শ্বাশুড়ি সকালে দোকান চালাতে দোকানে চলে যায়। সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরলে পুত্রবধূ রাফিজা বেগম(৩৫) মুমূর্ষ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকে চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে আহত রাফিজা বেগম(৩৫) উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয় কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেন।
এবিষয়ে মহালছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসান খান জানান এ ঘটনার খবর জানতে পেরে আমি ও আমার টিম নিয়ে পশ্চিম ক্যায়াংঘাট নামক স্থান হতে মোঃ আলমগীর হোসেন(২১) নামে একজন প্রকৃত অপরাধী দেশীয় ধারালো কুড়ালসহ থানায় আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আজ ১৮/০২/২০২৩ রোজ শনিবার তার শ্বাশুড়ি আমেনা বেগম(৬৩) বাদী হয়ে ও এলাকার বয়োজ্যষ্ট গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে পরামর্শের সহিত মামলা করা রয়েছে। মামলা নং-০২/০৫, পেনাল কোড-৪৪৮/৩০৭/২৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এম/এস