উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার কতৃক মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন কে বেধরক জুতা পিটা ও মার ধরনর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেন লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৮ নভেম্বর-২২ রোজ মঙ্গলবার বিকাল চারটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয় বস্তু পাঠ করেন আটারকছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ বলেন গতি ৭ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হোসেন আলী ও মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলালা হোসেন উপজেলা বিশ্রামাগারের সামনে ব্যক্তিগত কথা বলার সময় অতর্কিতভাবে পিছন থেকে এসে বেলাল হোসেন এর ওপর হামলা করেন এবং পায়ের জুতা খুলে জুতা পিটা করেন। লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার। এসময় বেলাল হোসেনের চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন আসিয়া তাকে উদ্ধার করে লংগদু উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন আবদুল বারেক সরকার সভাপতির দায়িত্ব থাকাকালীন আওয়ামী পরিবারের অনেক নেতা কর্মীকে নিজের ইচ্ছা মতো বিচার বা আহত করেন। এর আগে ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ও সাধারণ সম্পাদক বাবুলকে তার বাহিনী দিয়ে হামলা করেন। নেতৃবৃন্দ আব্দুল বারেক সরকারের স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য জেলা নেতৃবৃন্দের আবেদন করবেন বলে জানানো হয় এক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছে হামলার পরে তাই তার টাকা নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন আপনারা ও তদন্ত করে দেখতে পারেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন যারা তার পক্ষে মিছিল করেছ তারা আওয়ামী লীগের কেউ না। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কখনো গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্যকালব করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সেলিম, মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শামসুল আলম,সহ- সভাপতি হোসেন আলী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সুভাষ চন্দ্র, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তানিয়া আফরো হাওয়া, লংগদু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, সহ অন্যান্য উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এম/এস