ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:
চলতি বোরো মৌসুমে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১৫টি ব্লকের প্রায় ৪ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়। যেখানে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরোর ফলন বেশী হয়েছে বলে জানান কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো ইমরান আহমেদ। ফলে কৃষকের মুখে সোনালী হাসিতে ভরে উঠেছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তর। ইতিমধ্যে কৃষকরা ধান কেটে গোলায় ভরেছেন। কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর এর তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার প্রায় সবকটি ব্লকেই এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন , চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৪ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়। যার মধ্যে হাইব্রীড জাতের ধান চাষ হয়েছে প্রায় ১ শত ৩০ হেক্টর এবং উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে প্রায় ২শত ৭০ হেক্টর কৃষি জমিতে । উফশী জাতের মধ্যে ব্রি ধান৮৮, ৮৯, ৯২, ১০১,১০২, ১০৩, ১০৪, ১০৫ এবং বঙ্গবন্ধু ধান১০০ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের মধ্যে এসিআই-১, এসএল-৮-এইচ এবং হিরা ও টিয়া জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। এই বছর উৎপাদন এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১৬ শত মেট্রিক টন, কিন্তু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৮ শত মেট্রিক টন। কৃষি কর্মকর্তা আরোও জানান, পাহাড়ি জনপদে বোরো ধানের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ফলন আরোও বেশী হতো।
চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশমবাগান ব্লকের কৃষক মৃণাল তঞ্চঙ্গ্যা, সুফলা তঞ্চঙ্গ্যা সহ বেশ কয়েকজন কৃষক-কৃষাণী জানান, এইবার দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহের ফলে ধান নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমরা। তবে সব উপেক্ষা করে এবার ধানের ভালো ফলন পাওয়াতে আমরা অনেক খুশী। আমাদেরকে কাপ্তাই কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়ার ফলে আমরা অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।
এদিকে ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর মুরালী পাড়ার কৃষক মংজ মারমা বলেন, পানি সংকটের কারনে সেচ সুবিধা না থাকায় এবার বোরো মৌসুমের বোরো ধান নিয়ে আমরা দু:চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু উপজেলা কৃষি বিভাগের কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে এবং শেষের দিকে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় এবার বেশ ভালো ফলন হয়েছে।