ইব্রাহীম বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:-
দেশের সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও সরকারি চাকুরিতে ৫% আদিবাসী কোটা নিশ্চিতকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়নের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) বাঘাইছড়ি থানা শাখার উদ্যোগে ছাত্র ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বটতলা মাঠে ছাত্র ও জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ডা: সুমিত রঞ্জন চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বাঘাইছড়ি থানা শাখার সভাপতি পিয়েল চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা, জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি থানা শাখার সভাপতি প্রভাত কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি মহিলা সমিতির সদস্য শান্তনা তালুকদার, খেদারমারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিল্টু চাকমা, কাচালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভদ্রসেন চাকমা সহ জেলা- উপজেলা জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকুরীতে এবং উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ ভাগ আদিবাসী কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে, ভাড়াটিয়া শিক্ষক অপসারণ করে স্ব স্ব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য স্থানীয়দের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য জোড় দাবী জানান।
ভাড়াটিয়া শিক্ষকের বিষয়ে প্রধান অতিথি ডা: সুমিত রঞ্জন বলেন, একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকের বাড়ি হতে স্কুলের দুরত্ব যদি ১৫-২০ কিলোমিটার হয় তখন সেই শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে স্বল্প বেতনে চুক্তি করে ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে স্কুলের ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করে এবং ভাড়াটিয়া শিক্ষক নাম মাত্র ক্লাস নেয় যার কারনে ছাত্র-ছাত্রীরা মেধা শুন্য হয়ে যাচ্ছে এবং প্রজন্ম মেধাহীন জাতী হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি মনে করেন তাই এর প্রতিকার হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশ পাশের স্থানীয়দের মধ্য থেকে যোগ্যতা সম্পন্নদের নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দেন। একই সাথে তিনি শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তনায়নের লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণের অংশগ্রহণে প্রায় ১৫০০(দেড় হাজার) মানুষের সমাগম হয়।