কোন ইউনিয়নে নতুন শিশুর জন্ম হলে বা কেউ মৃত্যু হলে অবশ্যই তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করেছেন সরকার। এই ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পাড়াকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তবে অনেকক্ষেত্রে অসচেতনতার কারনে জনগণ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর কাজটা করেন না।
সেই ক্ষেত্রে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ একটি ব্যতিক্রমী ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর ইউনিয়নে সে সমস্ত জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ বা কোন এনজিও কর্মী সর্বোচ্চ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করবেন তাঁকে পুরস্কার প্রদান করবেন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে।
তারই ধারাবাহিকতায় ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সুমন দাশ তাঁর ওয়ার্ডে শতাধিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সহায়তায় করায় তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গত সোমবার( ৫ জুন) কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির মতবিনিময় সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে গ্রাম পুলিশ সুমন দাশ এর হাতে নগদ চেক তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ সুমন দাশ এর মতো সকলকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, গ্রাম পুলিশ সুমন দাশ তার ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে জন্মগ্রহনকারী ও মৃত্যুবরণকারী পরিবারগুলোর সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করিয়েছেন। এটা সকলের জন্য উদাহরণ হতে পারে।
গ্রাম পুলিশ সুমন দাশ এই প্রতিবেদককে জানান, এই ধরনের পুরস্কার প্রাপ্তি আমাকে আরোও উৎসাহিত করবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস