পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম দরদ। তাইতো মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করা হয়।
আজ রোববার (৮ মে), বিশ্ব মা দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন ও সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব মা দিবস -২০২২ উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ তৃলা দেব, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুজ্জামান ডালিম,মাটিরাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল হুক সহ উপজেলার বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, ভ্রুণ থেকে দশটি মাস গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, সেই মায়ের সম্মানে তারই চরণে আজকের এ দিনে নত তাবৎ পৃথিবীর সন্তানেরা।
মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়না। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।
প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবস পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন,এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন।
ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর দিবসটি পালনে বাংলাদেশে বিশেষ কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। তবে এবার নানা আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে মা দিবস।
এম/এস