ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দীঘিনালা জোনের আয়োজনে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও সেপকস এর পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার(০১মে)সকাল ১০টায় দীঘিনালা উপজেলার ১ং মেরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এবং সেনা পরিবার কল্যাণ সংস্থা’র যৌথ উদ্যোগে অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী,এতিম ও অসহায় শিশুদের মাঝে নতুন পোষাক বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং খাগড়াছড়ি রিজিয়নের সেপকস’র সহ-সভাপতি রাবেয়া জাহাঙ্গীর।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার(জিটুআই) মেজর মোঃ জাহিদ হাসান, দীঘিনালা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল চৌধুরী মোহাম্মদ ফাহিম আশরাফী এবং উনার সহধর্মিণী রেহনুমা মুনজুর, ১নং মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার লাকি,এরং ওয়াড মেম্বার ঘন শ্যাম ত্রিপুরা প্রমুখ।
ত্রাণ সামগ্রী ও এতিম শিশুদের মাঝে নতুন পোষাক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন,খাগড়াছড়ি রিজিয়ন পাহাড়ী-বাঙ্গালী নির্বিশেষে সবসময় পার্বত্যঅঞ্চলের যেকোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতার কাজে এগিয়ে আসছে।এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন,আমরা সবসময় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোরতার সাথে কাজ করি।এদেশে সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই। আমরা এ পার্বত্যাঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে ছিলাম,আছি এবং থাকবো। ,ধর্ম যার যার উৎসব সবার।আমরা এই ঈদেও সকলের সাথে আনন্দ এবং উৎসব ভাগাভাগি করে কাটিয়ে দিতে চাই। ধর্ম,বর্ণ,জাতি, নির্বিশেষে সবসময় ভালো কাজের মাধ্যমে পাশে থাকবো।আমরা সবসময় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে আসছি।ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
পরে ত্রাণ সামগ্রী ও পোষাক বিতরণ শেষ পর্যায়ে মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ী-বাঙ্গালী নির্বিশেষে এই এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সর্বদা বদ্ধপরিকর।আমরা সেনাবাহিনীর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
এম/এস