পাহাড়ি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী ও তরুণীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক রিনাই-রিসা ও বিভিন্ন গয়নাসহ নানান সাজে সেজেছে। তরুণরা ধুতি ও তাঁদের ঐতিহ্যবাহী শাট পড়ে প্রস্তুত। পিছিয়ে নেই শিশুরাও। তাঁরাও তাঁদের পোশাক পড়ে র্যালিতে অংশগ্রহন করতে আসে। পুরো র্যালিটা যেন একটা রংধনু। তরুণীদের সাজে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তোলে র্যালিকে।
ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ।
রবিবার(১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়।
তাঁর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এপি বলেন, করোনার কারণে আমরা গত দুই বছর উৎসব পালন করতে পারিনি। এই আনন্দটা আমরা হাত ছাড়া করতে চাই না। তাই এই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ে উৎসব শুরু হয়েছে। আজকের র্যালির মধ্য দিয়ে। চৈত্র মাসের শেষে আমরা বৈসু পালন করি। পার্বত্য চট্টগ্রামে চারদিন ব্যাপি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা আনন্দ করবে।
তিনি বলেন, সকল জাতিগোষ্ঠির ধর্ম-বর্ণ সকল সম্প্রদায় মিলে একাকার হয়ে আমাদের আনন্দটা ভাগাভাগি করে নিতে পারি।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, করোনার কারণে আমরা দুই বছর বৈসাবি উৎসব পালন করতে পারিনি। আজকে শুভেচ্ছা বিনিময় দিন শুরু। দুই বছর পর বৈসাবি উৎসব চলছে। আজ আমরা মন দিয়ে আনন্দ করব। আমরা সবাই আনন্দ করব। আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, নয়ন ভরে দেখার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ের ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে। বৈসাবির উৎসবের সাফল কামনা করছি এব সবাই যেন সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারি। তিনি বলেন, এখানে আইনশৃঙ্খলাসহ সকল বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদীকা শাহীনা আক্তার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শানে আলম, সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজীৎ রায় দাশসহ বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের নেতারা।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির মানুষরা র্যালিতে অংশগ্রহন করে। জেলা পরিষদ থেকে র্যালি শুরু করে টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে তরুণী ও তরুণরা নেচে-গেয়ে পুরো সড়কে মাতিয়ে রাখেন। পরে ঐতিহ্যবাহী গরয়া নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয়।
এম/এস