• শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রের জটিলতায় গুইমারাতে নতুন ভোটার হতে পারছেনা বাঙালীরা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ দীঘিনালায় স্কাউটস এর ত্রি- বাষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ২ ব্যক্তির তিন লাখ টাকা জরিমানা  মহালছড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান, আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বান্দরবানে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বান্দরবানে ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক মাইসছড়িতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান জেলা প্রশাসকের খাগড়াছড়িতে আসছেন সাঈদীর কন্ঠের ওয়ায়েজ মাওলানা গোলাম আযম সিন্দুকছড়ি জোনের মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা খাগড়াছড়ির দুর্গম জনপদে মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন

লামায় ইয়াবা টাকার জন্য যুবককে বেধড়ক মারধর

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা / ২৮৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

ইয়াবার পাওনা টাকার জন্য মারধরের শিকার আকরাম হোসেন।

লামায় ইয়াবা বিক্রি পাওনা টাকার জন্য মধ্যযুগীয় কায়দায় আকরাম হোসেন (৩২) নামে যুবককে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১০টায় মুমূর্ষু অবস্থায় নির্যাতনের শিকার যুবক ইয়াবা কারবারীর টর্চার সেল থেকে পালিয়ে আসলে স্বজনরা তাকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতনের শিকার যুবক আকরাম হোসেন লামা পৌরসভার বাজার পাড়ার বাসিন্দা মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রোবিন বলেন, আকরামের সারা শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি রাতে আহতের স্বজনরা অবহিত করলে হাসপাতালে আহত ব্যক্তিতে দেখতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে কথা হয় আকরাম হোসেনের সাথে। সে বলে, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ৮টায় লামা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে বেলাল হোসেন তার লামা বাজারের পান বাজারস্থ দোকানে আমাকে ডাকে। বেলাল আমার কাছে ইয়াবা বিক্রির ২২ হাজার টাকা পায়। আমি মাদক মামলায় জামিন পেয়ে সদ্য জেল থেকে বেরিয়ে আসছি। সে আমার কাছে টাকা দাবী করে অন্যথায় ইয়াবা বিক্রি করে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয়। আমি টাকা পরিশোধে সময় চাই ও ইয়াবা বিক্রি করতে অনিহা প্রকাশ করি। আমি সুস্থ জীবনে ফিরতে চাই। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বেলালের আরেক সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন তার সাথে আমাকে বেলালের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পরপরই বেলাল, জাহাঙ্গীর ও মং মার্মা নামে তিনজন রশি দিয়ে আমাকে বেঁধে ফেলে। পরে পান বাজারস্থ বেলালের দোকানের পিছনে টর্চার সেলে আমাকে নিয়ে রড দিয়ে ঘন্টাব্যাপী মারধর করে। আমি অবচেতন হয়ে পড়লে তারা আমাকে বাথরুমে আটকে রেখে। পরে আমার জ্ঞান ফিরে এলে আমি টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে আসি।

আকরাম আরো বলে, বেলাল হোসেন একজন বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী। আমার মত অসংখ্য খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা তার আছে। কেউ তার কথায় রাজি না হলে তাকে ধরে এনে টর্চার করা হয়। পান বাজারে রাইস মিলের পিছনে ছোট ছোট কিছু রুম আছে। সেখানে নিয়মিত ইয়াবা সেবন, বিক্রি ও লেনদেন হয়। এইসব রুম গুলো টর্চারসেল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

এই বিষয়ে জানতে বেলাল হোসেনের মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল দিলে তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, মারধরের শিকার আকরাম হোসেন একজন চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা। তার নামে লামা থানায় ৯টি মাদক মামলা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ