• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ (প্রসিতের) সশস্ত্র গ্রুপের আগমন প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে প্রেস বিবৃতি দিলো বরকলের সন্তোষ চাকমা ফরিদপুর রেলস্টেশনে ঢাকামুখী কমিউটার ট্রেনের গতিরোধ পাহাড়খেকো আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ’কে ঠেকাবে কে ? কাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে চালু হল ”মানবতার দেওয়াল” কালবৈশাখীর ছোবলে মানিকছড়িতে ঘর-বাড়ি ভেঙে চুরমার বিদ্যুৎ লাইন বির্পযয় রামগড়ে বজ্রপাতে গংজ মার্মার মৃত্যু কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব স্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডে অগ্নিকান্ড উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া জেএসএস (সন্তু) খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় মা‌টিরাঙ্গায় সাংবাদিক হাসান আল মামুনের বিরু‌দ্ধে মানববন্ধন মোংলায় নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত

পার্বত্যাঞ্চলের গ্রাম-বাংলার জলাশয় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে রঙ-বেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা

রিপন সরকার নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি: / ৪২৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

খাগড়াছড়ি সহ পার্বত্যাঞ্চলের গ্রাম-বাংলার বিলে-ঝিলে ও ডোবা-নালায় শাপলা ফুলের সমারোহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্ষা থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়ের নিচু জমিতে এমনিতেই জন্মাত প্রচুর শাপলা-শালুক ও ঢ্যাপ। অনেকেই এই সব তাদের খাদ্যের তালিকায় রাখত। শিশুরা তো বটেই সব বয়সের মানুষ রঙ-বেরঙের শাপলার বাহারি রুপ দেখে মুগ্ধ হতেন। এ সময় শাপলা ভরা বিলের মনমাতানো সৌন্দর্যে চোখের পলক ফেলা যেনো মুশকিল ছিল। কিন্তু কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে এ সব শাপলা।
খাগড়াছড়িসহ পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন জলাশয় থেকে বিলুপ্ত প্রায় শাপলা ফুল। নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর শাপলার প্রতি আকর্ষণ সবার চেয়ে বেশী। বর্ষা মওসুমের শুরুতে এ ফুল ফোটে।খাল- বিল-জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় শাপলা। আবহমান কাল থেকে শাপলা মানুষের খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এক সময় খাল -বিল ও বদ্ধজলাশয়ে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা দেখা যেতো। ছোটদের কাছে শাপলা ফুল একটি প্রিয় খেলনার পাশাপাশি অনন্ত সৌন্দের্য্যর আকর্ষণ।
শাপলা ফুল বাংলার সাংস্কৃতিতে এক অনন্য রুপ। বর্তমান সভ্যতায় বাড়তি জনগণের চাপের কারণে আবাদি জমি ভরাট করে বাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের বানানোর ফলে বিলের পরিমাণ কমে গেছে। যার কারনে শাপলা জন্মানোর জায়গাও কমে আসছে। বর্ষার শুরুতে সকালে বিভিন্ন স্থানে শাপলার বাহারী রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত। এসব দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না। অনেকে আবার শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য হওয়ায় এলাকার লোকজন শাপলা তুলে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বিক্রি করতো। শাপলা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি,ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন বিলে অতিরিক্ত পুকুর খনন,কৃষি জমিতে স্থাপনা নির্মানের ফলে,শাপলা আজ বিলুপ্তির পথে। ঐতিহাসিক কাল থেকেই শাপলার ফল (ঢ্যাপ) দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু খৈ তৈরি হয়। মাটির নিচের মূল অংশকে শালুক বলে। জাতীয় ফুল শাপলা সাধারণত আবদ্ধ অগভীর জলাশয়,খাল-বিলে জন্মে থাকে। অনেক স্থানে ফোঁটার কারণে চারিদিকে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিণত হতো। গ্রামবাংলার আনাচে কানাচে অহরহ দেখা যেত জলে ভাসা ফুলটি। তবে এখন অযন্ত্র আর অবহেলায় জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সকালে অথবা চাঁদনি রাতে বিল,ঝিল বা জলাশয়ে ফুলটি যখন অনেক ফুটে থাকে,তখন সেখানে এক অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়। অনেকে বলেন,বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিল, জলাশয় ও নিচু জায়গায় পানি জমা থাকলে সেখানেই প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। দিন দিন দেশের বিল-ঝিল-খাল-নদী দখল, ভরাট,জমিতে অতি মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে শাপলাফুল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ