ঝিনাইদহের শৈলকুপার এক সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যৌতুক, নারী নির্যাতন, অর্থ আত্মসাৎ ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি মামলা হয়। মামলা করেন তারই স্ত্রী শাহনাজ পারভিন ও পরকিয়া প্রেমিকা শেফালীর স্বামী মনিরুল ইসলাম।
এখবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিন সাংবাদিকসহ চার জনের নামে হয়রানীমূলক মামলা করা হয়েছে।
শৈলকুপার সাতবিলা কুলচারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী শেফালী খাতুন বাদী হয়ে খুলনার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীনির অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের শৈলকুপা প্রতিনিধি এবং ৭১ বাংলা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক শামিমুল ইসলাম শামিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শৈলকুপা প্রতিনিধি ও শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইমরান ও শেফালীর সাবেক স্বামী শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে বাদীনির আইনজীবী স্বপন কুমার ঘোষ খবর নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় অভিযোগটি দায়ের করা হলে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে তিন সাংবাদিকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন। সেই সাথে সাংবাদিক হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবীতে মাববন্ধন, স্বারকলিপি পেশ ও লাগাতার কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।