মোঃ মহিউদ্দিন, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আবারো ব্রাশ ফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। বাবু পাড়ার পর এবার জীবতলীতে আবারো ব্রাশ ফায়ারে প্রকম্পিত হয়েছে।
শনিবার (২২ আগস্ট) সন্ধা ৭ ঘটিকার সময় উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার পূর্বদিকের পাহাড়ী গ্রাম জীবতলী ও তালুকদার পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এলোপাতাড়ি ব্রাশ ফায়ারের ঘটনা ঘটে। এতে তাৎক্ষণিক কোন হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাত ৮:৫০ মিনিটে উপজেলার নিকটবর্তী বাবুপাড়ার জীবঙ্গছড়া ব্রীজের পাশে ৭০/৮০ রাউন্ড ভয়াবহ গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল জেএসএস (সন্তু) ও জেএসএস (এমএন লারমা) দল একে অন্যের উপর দোষ চাপালেও কেও শিকার করেনি কোন পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির কথা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, সন্ত্রাসীদের ছুঁড়া গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে আছে প্রতিপক্ষের লোকদের বাড়ীর টিনের বেড়া ও পাশের গাছের ডাল পালা। পরে আছে গুলির খোসা, যা পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হেফাজতে নেয়।
এদিকে, ২৪ ঘন্টা না পার হতেই আবারো গুলাগুলির ঘটনা স্থানীয় পাহাড়ী ও বাঙ্গালী জনগোষ্ঠিক আতঙ্কের মধ্যে আছে ।
বাঘাইছড়ি থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার এসআই মোঃ আসাদ গোলাগুলির ঘটনা শিকার করে বলেন, রাতের অন্ধকারে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের লোকজনকে টার্গেট করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। ইদানিং তাদের শসস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান প্রয়োজন। এছাড়া যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আব্দুর রহমান নামে এক এলাকাবাসীর দাবী যৌথ বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করা দরকার।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন,আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শক্তি প্রদর্শন করে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।এতে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন,প্রত্যাহারকৃত সকল সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করার জন্য জোর দাবি জানান।