সাইফুর রহমান পারভেজ গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে প্রচন্ড স্রোত ও নদী ভাঙনের কারণে “দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ও সংশ্লিষ্ট বন্দর এলাকায় শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং ইজারাদার পুরোটায় লোকসানের মুখে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে এবং ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) মালিকাধীন ঘাট পয়েন্টে “দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ও লেবার হ্যান্ডলিং” ০১ জুলাই-২০২৪ থেকে ৩০ জুন-২০২৫ ইং পর্যন্ত ইজারা বরাদ্ধ পায় মো. শফিকুল ইসলাম।
সরেজমিন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নদীতে প্রচন্ড স্রোত ও দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায় একাধিকবার ভাঙন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে জুলাই থেকে ৩মাস শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং টানা ৩মাস ইজারাদার শুল্ক আদায় না করতে পারলেও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে হয়েছে। এতে লাভ তো হয়নি বরং ইজারাদারের পুরো টাকা লোকসানে পরার আশংকায় রয়েছে।
এসময় গণমুক্তি কে একধিক লেভার বলেন, টানা ৩ মাস কোন আয় রোজগার করতে পারিনি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বসে বসে বেতন ভুক্ত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়েছেন। আমাদের মত সকল দিনমজুর শ্রমিকদের অনেক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে সংসার চালাতে হয়েছে। এখনও দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত পরিমান মালপত্র লোড-আনলোড হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) মালিকাধীন ঘাট পয়েন্টে “দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ও লেবার হ্যান্ডলিং” ইজারাদার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাট ইজারা নেওয়ার পর থেকে একাধিক সমস্যায় আমাদের শুল্ক আদায় করতে পারিনি। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নদীতে প্রচন্ড স্রোত এবং নদী ভাঙনে টানা ৩মাস শুল্ক আদায় হয়নি। কিন্ত আমাদের সকল প্রকার ব্যয় হয়েছে। কিন্তু এই অবস্থায় সরকার আমাদের লোকসানের দিকে না তাকালে দেনার বুঝা মাথায় নিয়ে পথে বসতে হবে। সুতরাং সরকারের কাছে আমাদের আবেদন ইজারাকৃত টাকা কিছু কমিয়ে আমাদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করবেন।