রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ৪টি
রো-রো ( বড়) ফেরি সংযুক্ত করা হয়েছে। উক্ত নৌরুটে দ্রুত যানবহন পারাপার এবং ফেরি চলাচল স্বভাবিক রাখতে এ সিদ্ধন্ত নিয়েছে কর্তপক্ষ। শিমুলিয়া- বাংলাবাজার ( মাওয়া) নৌরুটে থেকে এনে সংযুক্ত করা হয়েছে এ ফেরি গুলো দৌলতদিয়া – পাটুরিয়া নৌরুটে পুর্বের ফেরির সাথে কেরামাত আলী, এনায়েতপুরি ,শাহ পরান ও গোলাম মওলা নামক ফেরি সংযুক্ত করা হয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে ভারী যানবাহন পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকায়, ঐরুটের ভারী যানবহন গুলো এ রুট দিয়ে যাতাযাত করছে। এতে দৌলতদিয়া – পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনিই দীর্ঘ যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও অপেক্ষামান যানবহন গুলোর। এদিকে দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন ইউনিয়ন পরিষদ পর্ষন্ত দ্বাড়িয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীবাহী বাসেরও লম্বা লাইন তৈরি হয়। ফেরি ঘাটের উপর চাপ কমাতে ঘাট থেকে দশ কিলোমিটার দুরে গোয়ালন্দ মোড়ে অপচনশীল পন্যবাহী ট্রাক মহাসড়কে দীর্ঘ লাইন দিয়ে রাখা হয়। ফেরি পারের অপেক্ষায় ঘাটে ৩ শতাধিক এবং গোয়ালন্দ মোড়ে শতাধিক যানবহন অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডবিউটিসি) দৌলতদিয়া শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, পদ্মায় স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি পারাপারে সময় বেশী লাগছে। এতে ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় যানবাহনগুলো দীর্ঘসময় ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক রাখতে আমরা মাওয়া ঘাট থেকে চারটি বড় ফেরি এনেছি। এখন আমাদের ফেরির সংখ্যা হলো ১৯টি। শুক্রবার থেকেই সবগুলো ফেরি চলাচল করবে। এখন আর কোন সমস্য হবে না বলে তিনি জানান।