• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কাপ্তাইয়ে সকলের মধ্যে যেই সম্প্রীতি আছে, সেটা ধরে রাখতে হবে- ইউএনও মো মহিউদ্দিন  সিএনজি ধর্মঘটে কাপ্তাইয়ে দূর্ভোগ চরমে  ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগীতা ও জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে; দীঘিনালায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ পাহাড় ও সমতল সব মিলে বাংলাদেশ, পাহাড়ে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস-নাহিদ ইসলাম বড়ধুল ইউনিয়নের বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক স্মরণসভা পথ র‍্যালী রাজবাড়ীতে ফেনসিডিল ও গাঁজা সহ গ্রেপ্তার-১, মোটরসাইকেল জব্দ কাপ্তাইয়ে ৭ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত  বেলকুচিতে ঐতিহাসিক ফাইনাল নৌকা বাইচ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত চট্রগ্রামে বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে শান্তিপূর্নভাবে চলছে ৭২ ঘন্টার সড়ক অবরোধ মানিকছড়িতে শান্তি-শৃঙ্খলা সম্প্রীতি সভা অনুষ্টিত উদ্ভুত পরিস্থিতি দেখতে খাগড়াছড়ি পরিদর্শনে সরকারের তিনজন উপদেষ্টা

কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধ্বসের  আজ ৭ বছর : এখনোও ঝুঁকিতে বসবাস করছে বহু মানুষ

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: / ১৩২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: ২০১৭ সালের ১৩ জুন। রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইবাসীর জন্য দিনটি ছিল এক বিভীষিকাময় দিন। এর আগের দিন (১২ জুন) মধ্যরাত হতে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। টানা বর্ষনে তখন ঘরবন্দি প্রায়ই মানুষ। অতিবৃষ্টিতে সেইদিন কাপ্তাইয়ের সকল সড়ক পথ যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল।

১৩ জুন সকালে কাপ্তাইবাসী শুনলো ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের কথা। বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসতে লাগলো মৃত্যুর কথা। সেইদিন সকালে প্রথম দু:সংবাদটি আসে ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়ি হতে। ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে সেইদিন ঐ এলাকার বসবাসরত নুরনবীসহ তার ছেলের গর্ভবতী স্ত্রী এবং তার শিশু পুত্র ঘটনাস্থলে মারা যায়।

ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসসহ ঐ এলাকায় ছুটে যান তৎসময়ের কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম এবং ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী। এরপর একে একে ওয়াগ্গার মুরালীপাড়া, রাইখালির কারিগর পাড়া এবং চিৎমরম হতে পাহাড়ধ্বস ও মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। সেইদিনের পাহাড় ধ্বসে কাপ্তাইয়ে প্রান হারায় সর্বমোট ১৮ জন। পাহাড়ী ঢ়লে তলিয়ে যায় শত শত একর সবজি ক্ষেত, বিনষ্ট হয় বহু ঘরবাড়ী। এখনোও সেই দিনের কথা কাপ্তাইয়ে জনগন মনে করে শিহরিত হয়ে উঠে।

আজ(১৩ জুন,২০২৪) কাপ্তাইয়ের পাহাড় ধ্বসের ৭ বছর হলো। এখনো কাপ্তাইয়ের অনেক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে শত শত পরিবার। বিশেষ করে ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নের ঢাকাইয়া কলোনিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে শত শত পরিবার। এইছাড়া ওয়াগ্গা ইউনিয়নের মুরালীপাড়া, রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া, তিনছড়ি, মিতিঙ্গাছড়িসহ দূর্গম অনেক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে অনেক পরিবার। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি হলে এদেরকে প্রশাসনের পক্ষ হতে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসা হলেও এই সব পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে পূর্নবাসন করা যায় নাই।

 

৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জোবাউদা আক্তার লাভলী বলেন, কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ঢাকাইয়া কলোনি এলাকায় এখনোও ঝুঁকিতে বসবাস করছে বহু মানুষ। যখন অতি বৃষ্টি হয়, তখন পাহাড় ধ্বসের আশংকায় তাঁরা নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আসেন। যদি এসব লোকদের স্থায়ী ভাবে কোন জায়গায় পূর্ণবাসন করা যেতো তাহলে সমস্যার সমাধান হতো।

 

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মহিউদ্দিন বলেন,  ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ঢাকাইয়া কলোনি সহ উপজেলার রাইখালী ও ওয়াগ্গা ইউনিয়নে এখনো পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে বহু পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ হতে আমরা প্রায়ই এইসব এলাকায় গিয়ে জনগণকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস না করার জন্য অনুরোধ করি। বিশেষ করে অতি বৃষ্টি হলে তখন পাহাড় ধ্বসের আশংকা থেকে যায়। তখন আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসি এবং তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করি। যদি ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীরা দূর্যোগ এর আগে নিরাপদ স্থানে চলে আসে তাহলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ