• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাঙ্গু নদীতে নৌকায় ডুবে নারী নিখোঁজ এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি মোল্লাহাটে বিএনপির আহবায়ককে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে এক ঘন্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপার হলেন শিশু শিক্ষার্থী নূর ইসরাত জাহান প্রবারণা পূর্ণিমাকে ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ লামায় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে অসহায় জায়গার মালিকের যত অভিযোগ বান্দরবানে এবারো এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কোয়ান্টাম কসমো কলেজ প্রথম কাপ্তাই মা সীতা দেবী মন্দিরে হাতির আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত রান্না ঘর ও বাগান নবীনগর নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন! সাজেকে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি ও বাঙ্গালী পরিবারের মাঝে সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তা প্রদান মানিকছড়িতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম হাতে-কলমে অক্ষর শিখছে শিশুরা প্রবারণা উৎসবে মানিকছড়িতে অনুদান বিতরণ গুইমারা কলেজের সাফল্য মায়ের ইচ্ছে স্বপ্নপূরণে চিকিৎসক হতে চায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আশরাফুল

লামায় ঘুরতে এসে কি কি দেখবেন ?

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান / ৬০৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান

দেশের দূর-দূরান্ত থেকে যারা লামায় ঘুরতে আসবেন, তারা স্থানীয় কারো রেফারেন্স, টুরিস্ট গাউড, যে কোন ট্রাভেল গ্রুপ বা কোন পর্যটন স্পটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে আসার চেষ্টা করবেন। তাহলে সময়কে সঠিক ব্যবহার করে অতি অল্প সময়ে লামা উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে দেখতে পারবেন।

যেহেতু লামা পাহাড়ি এলাকা এবং বিশেষ করে রাত্রিযাপনের সুযোগ-সুবিধা সীমিত, তাই এখানে আসার আগে কোথায় থাকবেন তা নিশ্চিত করে আসবেন। সব মিলিয়ে লামা উপজেলায় তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টেুরেন্টে ২০ জন এবং অনন্য রিসোর্টে ৫০ জন পর্যটক থাকার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া মিরিঞ্জা ভ্যালী ও মারাইংছা স্পটে তাবু এবং মাচাং ঘরে খোলা আকাশের নিচে দুই শতাধিক পর্যটক থাকতে পারবেন। লামা বাজারে মানসম্মত আবাসিত হোটেল সী-হিল, মাছ বাজারে জেলা পরিষদ গেস্ট হাউজ, প্রিজন হোটেল ও মিরিঞ্জা হোটেলে শতাধিক লোক থাকার ব্যবস্থা আছে।

মিরিঞ্জা ভ্যালী এবং মারাইংছা হিলে যে সব টুরিস্ট থাকে তাদের খাবার লামা বাজারের বিভিন্ন হোটেল থেকে কর্তৃপক্ষ নিয়ে সরবরাহ করেন। টুরিস্টরা চাইলে নিজেরাও লামা বাজারে এসে খেতে পারেন। লামার তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টেুরেন্টে এবং অনন্য রিসোর্টে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের খাবার পরিবেশনের সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া মানসম্মত হোটেল হিসাবে লামা বাজারে কুটুমবাড়ি রেস্টেুরেন্ট, লামা থানার সামনে ফুড হিল, পান বাজার গলিতে হোটেল ইনসাফ, নদীর ঘাটে হোটেল বিসমিল্লাহ ও বাস টার্মিনালে ভাতঘর রয়েছে। যেখানে স্বল্প খরচে খেতে পারবেন। মিরিঞ্জা ভ্যালী ও মারাইংছা হিল থেকে লামা বাজারের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার।

থাকার ব্যবস্থা হিসাবে সরকারি ও বেসরকারী কয়েকটি রেস্ট হাউজ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় থাকলে ওখানেও থাকতে পারেন। যেমন- বিএটিবি রেস্ট হাউজ, বন বিভাগের রেস্ট হাউজ, উন্নয়ন বোর্ড রেস্ট হাউজ।

বাস-জীপ থেকে নামার পর নিজেদের ইচ্ছামত অটো, রিকশা বা সিএনজিতে উঠবেন, অবশ্যই গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ভাড়া ঠিক করে উঠবেন। দূর কোন স্থানে যেতে চাইলে জীপ ব্যবহার করতে পারেন।

সম্ভব হলে লামা আসার আগেই ফোনে হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। তবে বুকিং দেবার আগে ভাড়া ঠিক করে নেবেন। যারা লামায় এসে হোটেল ঠিক করতে চান তারা অবশ্যই অটো চালকের কথায় কোন হোটেলে যাবেন না। নিজেরা যাচাই করে, রুম দেখে ভাড়া ঠিক করে হোটেলে উঠবেন।

লামা পার্বত্য এলাকা হওয়ায় এখানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট রয়েছে। ওইসব চেকপোস্টে আপনার পরিচয় প্রদানের জন্য এনআইডি কার্ডের ফটোকপি দিতে হয়। এছাড়া তাই হোটেলে উঠার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সাথে আনবেন এবং হোটেলে কপি জমা দেবেন।

কোথাও যাওয়ার আগে মূল্যবান জিনিসপত্র হোটেলে বা পর্যটন কর্তৃপক্ষের কাছে রেখে আসাই উত্তম। যেহেতু লামা পাহাড়ি এলাকা, তাই নিরাপত্তার স্বার্থে লামা থানা পুলিশের নাম্বার রাখতে পারেন। লামায় টুরিস্ট পুলিশ নেই। কোন ধরনের হয়রানি হবার সম্ভাবনা হলে পুলিশের সহায়তা নিবেন। লামা পুলিশের সরকারি নাম্বার। ওসি ০১৩২০-১১০৫৮০, ডিউটি অফিসার ০১৩২০-১১০৫৮৫ বা জাতীয় সেবা নাম্বার ৯৯৯ এর সহযোগিতা নিতে পারেন।

নিজের গন্ডির বাহিরে ও অচেনা জায়গায় একা যাবেন না। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের জীবনযাত্রা ও সাংস্কৃতিক কৃষ্টিকালচার আলাদা। তাই তাদের সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত করে এমন কোন কাজ করবেন না।

হোটেলে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে আগে মূল্য তালিকা দেখে নিবেন। দেশটা আমাদের। তাই কোথায় ঘুরতে গেলে খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল এবং ময়লা আবর্জনা করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সহায়তা করুন।

পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সন্ধ্যার পর রাত্রিযাপনের স্থানের আশপাশে থাকবেন। সন্ধ্যার পর নিরিবিলি অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা পরিহার করাই উত্তম।

স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, লামা থানা ও ট্রাফিক পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষনিক পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় একান্তই কাম্য।

একনজরে লামা উপজেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ-
১। মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স।
২। তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট।
৩। অনন্য রিসোর্ট।
৪। মিরিঞ্জা ভ্যালী।
৫। মারাইংছা হিল।
৬। ভিউ পয়েন্ট কিছুক্ষণ।
৭। সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ বিহার।
৮। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
৯। নুনারঝিরি, আইম্যারা ঝিরি, নকশাঝিরি সহ অসংখ্য ঝর্ণা।
১০। লামা-ফাইতং রোডে ইকো রিসোর্ট ‘প্রংখংডং’।
১১। আধুনিক ও স্থানীয় খাবারের দোকান ‘লাড়ং’।
১২। খাবারের দোকান ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’ ও ‘ফুড হিল’।
১৩। মাতামুহুরী নদীতে নৌকা ভ্রমণ।
১৪। পাহাড় ট্রেকিং।
১৫। লামা খাল, পোপা খাল, বমু খালের মাছকুম।
১৬। মাষ্টার পাড়া সুরুঙ্গ (গুহা)।
১৭। বীর বাহাদুর কানন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ