মোঃ ইমরান হোসেন হৃদয়, শার্শা (যশোর)
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সারাদেশের মতো যশোর জেলার শার্শা-বেনাপোলে পুরোদমে চলছে পূজার প্রস্তুতি। শার্শা উপজেলা সদরসহ ৩২টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
দুর্গাপূজা আগামী ২০ অক্টোবর, ২ কার্ত্তিক, শুক্রবার ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হয়ে ২৪ অক্টোবর ৫ কার্তিক মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গাপূজা।
শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হলো দেবী দুর্গার বাহন সিংহসহ মহিষাসুরের প্রতিমা সঙ্গে দেবী লক্ষ্মী, সরস্বতী, দেবতা কার্তিক, গণেশ, এবং তাদের বাহন পেঁচা, হাঁস, ইঁদুর আর ময়ূর। উৎসব সামনে রেখে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের কারিগররাও। পূজা শুরুর আগেই প্রতিমা গুলোকে তুলতে হবে মণ্ডপে। ইতোমধ্যে প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জার কাজ।
উপজেলার কয়েকটি পূজা মন্ডপ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। সুনিপুণ হাতে মাটি লাগানোর কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেউ কাদা তৈরি করছেন, কেউ কাদা দিয়ে হাত-পা বানাচ্ছেন। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মাটি দিয়ে সুনিপুণ হাতে তৈরি করছেন কারুকার্যময় অলঙ্কার। আর সেই অলঙ্কার প্রতিমার শরীরে জড়িয়ে দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন অনন্যা রূপে। দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন দেবী দূর্গাকে সকলের কাছে অপরূপ সাজে প্রদর্শন করার জন্য। প্রতিমা তৈরিতে কোন ধরনের ঘাটতি রাখতে চাইছেন না কারিগররা।
শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্যমতে, এ বছর উপজেলা ও পৌরসভা মিলে ৩২ টি মণ্ডপ ও মন্দিরে পূজা উদযাপিত হবে। বেনাপোল পৌরসভায় ৬টি, শার্শা উপজেলায় ২৬টি পূজা মণ্ডপ সাজানোর কাজ চলছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নীল কুমার সিংহ বলেন, উপজেলার সব মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গোৎসবের যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ চলছে। এরই মধ্যে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।