সিলেট নগরীর পূর্ব মিরাবাজার এলাকার বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও
প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
আহতরা হলেন– ইমন (২৫),মোঃ রিপন (২৪).শ্রীঃ বাদলদাস (৪০),শ্রীঃ উৎপল দাস (২৬),মোঃ মিনহাজ উদ্দিন (২৫),মোঃ রুবেল আহমেদ (২৮) ,মোঃ তারেক আহমেদ (৩২) ,
মোঃ নজরুল ইসলাম (৪৫) মোঃ রুমান (২৩)
আহতদের মধ্যে ৭জন ওই ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী এবং বাকি দুইজন পথচারী বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক আতিকুর রহমান জানান, সিলেট থেকে দগ্ধ হয়ে ৯ জন গতরাতে দুইটার দিকেআমাদের ইনস্টিটিউটে আসে। দগ্ধদের মধ্যে, ঈমন দগ্ধ৪০% শতাংশ, রিপন দগ্ধ ৩২% শতাংশ,বাদলদাস দগ্ধ ৩০% শতাংশ,উৎপল দাস দগ্ধ ২৪% শতাংশ,মিনহাজ উদ্দিন দগ্ধ ৪৫%,রুবেল আহমেদ দগ্ধ ৪২%,তারেক আহমেদ দগ্ধ৩৫% শতাংশ,নজরুল ইসলাম দগ্ধ ৩০%, এবং রুমান শতকরা ৪২% দগ্ধ হয়েছেন।আমরা তাদেরকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রেখেছি।
ওই ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই সময় কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিলে কমপ্রেসর কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি জানান শাহপরান এলাকার বাসিন্দা ও পাম্প কর্মচারী মিনহাজ আহমদ, ইমন, মুহিন, শহরতলীর কোরবান টিলার রুমেল, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের বাদল দাস, সদর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার তারেক আহমদ, একই এলাকার রুমান, তাহিরপুরের শ্রীপুরের রিপন মিয়া, একই গ্রামের লুৎফুর রহমান।