রাজধানীতে হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করে আসছিল একটি চক্র। মিরপুর থেকে এমন ৮ জনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, প্রতিদিন ৬০০ টাকার বিনিময়ে এমন প্রতারণা করে আসছে চক্রটি। পুলিশ বলছে, প্রকৃত হিজড়ারাও যদি জোর করে টাকা আদায় করে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার। মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হোমসে যায় এক দল হিজড়া। সন্তান হওয়ায় ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। টাকা কম দিতে না চাইলে সেই বাসিন্দাকে মারপিট করে হিজড়ারা। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বাসার দারোয়ানকেও। এ ঘটনায় মামলা হলে গ্রেপ্তার করা হয় ১০ হিজড়াকে।
শনিবার মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ে এক বাইকারের কাছ থেকে জোর করে ২০০ টাকা নেয় এক দল হিজড়া। ছিনিয়ে নিতে চায় মোবাইল ফোনও। মিরপুর থানায় মামলা করে সেই ভুক্তভোগী। অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেপ্তার ৮ জনের কেউই হিজড়া না, সবাই-ই পুরুষ। ২ জনের রয়েছে স্ত্রী-সন্তানও।
ডিএমপি মিরপুর বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, ২০ জনের একটি চক্র রয়েছে মিরপুর এলাকায়। যারা কেউই হিজড়া না। পাপ্পু নামের এক গুরু মা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের এনে হিজড়া সাজিয়ে চাঁদাবাজি করাচ্ছে।
স্বপ্নজয়ী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রাখি শেখ বলেন, এমন অনেক প্রতারক হিজড়ার বেশ ধারণ করে চাঁদাবাজি করছে।
কোনো হিজড়া যদি জোর করে টাকা আদায় করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে- বলছে পুলিশ।