ঢাকার আশুলিয়ার শ্রীপুরে একটি টিনসেডের বাসায় রান্না করার সময় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ২ নারীসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত ৮টার দিকে ধানসোনা নতুননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাত আনুমানিক ২টার দিকে দগ্ধদের আশুলিয়া থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধরা হলেন- গার্মেন্টসকর্মী সাবিনা বেগম (৪০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মুদি দোকানদার মোঃ মহসিন হোসেন (২৭) ও তার মা কমেলা বেগম (৫০), মাটি কাটার ভেকু(এসকেভেটর) চালক মোঃ নজরুল ইসলাম (৪৫), ব্রিটিশ টোবাকো কোম্পানির কর্মচারী মোঃ সাদিকুল ইসলাম (২৮) ও মুদি দোকানদার মোঃ হাশেম আলী (৪৫)।
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গার্মেন্টস কর্মী সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, তারা ধানসোনা ইউনিয়নের নতুননগর এলাকার শফিকের সেমিপাকা টিনশেড বাড়িতে পাশাপাশি কয়েকটি ঘরে ভাড়া থাকেন। রাত ৮টার দিকে তিনি শ্রীপুর বাজারে তার কাপড়ের দোকান থেকে বাসার কিছুটা দূরে পৌঁছানো মাত্রই বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। দৌড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন, তাদের বাসা ও আশপাশে আরও কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরবর্তীকালে আশপাশের ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে কয়েকটি ঘর থেকে ওই ৬ জনকে বের করে আনা হয়। প্রথমে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রাতেই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও জানান, সেমিপাকা টিনশেড ঘরগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্নার কাজ করেন সবাই। তার ধারণা, গ্যাস লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, গত মধ্যরাতের ৬ জন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের শরীরে দগ্ধের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে, মোঃ সাদিকুল ইসলাম শতকরা ৫০%, মোঃ হাসেম আলী শতকরা ৪৫%, সাবিনা বেগম শতকরা ৫০%, মোঃ নজরুল ইসলাম শতকরা ৪৫%, মোঃ মহসিন শতকরা ১০% এবং কমেলা বেগম শতকরা ২০%. তাদের সবাইকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।