রাজধানীর সদরঘাট থেকে আব্দুল্লাহপুর/ বাইপাল রুটে এক আতঙ্কের নাম ‘ভিক্টর ক্ল্যাসিক’ পরিবহন। রুটটিতে এই পরিবহনের অন্তত ১১০টি বাস চলাচল করে। সড়কে চলার সময় এসব বাস নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করে না। ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় প্রাণহানী ঘটছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ‘ভিক্টর ক্লাসিক’ পরিবহনের একটি বাস রাজধানীর রামপুরা বি্রজ এলাকায় প্রথমে সড়কে জাহিদ হাসান নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ও পরে ফুটপাতে মেহেদী হাসান পারভেজ নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই এ দুজনের মৃত্যু হয়।
‘ভিক্টর ক্লাসিক’ পরিবহনের বেপরোয়া বাসের চাপায় মাঝেমধ্যেই প্রাণ ঝড়ে সড়কে। একসময় ‘সুপ্রভাত’ নামে চলাচল করত ‘ভিক্টর ক্লাসিক’। চার বছর আগে প্রগতী সরণিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে হত্যা করলে পরিবহনটির রুট পারমিট বাতিল করে বিআরটিএ। তারপরেই রং বদলে ‘ভিক্টর ক্ল্যাসিক’ নামে ফের সড়কে নামে।
এই পরিবহনের বেশিরভাগ বাসের কাগজে-কলমে ফিটনেস থাকলেও বাস্তবে তা লক্কর ঝক্কর। আবার অধিকাংশ চালকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। পুলিশ বলছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করা ‘ভিক্টর ক্লাসিক’ পরিবহনের বাসগুলোকে মামলা-ডাম্পিংয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
বাড্ডা এলাকার দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ফরহাদ আলী বলেন, এ পরিবহনের প্রায় প্রতিটি বাসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
শনিবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রগতি স্মরণির এ জায়গায়টিতে রেষারেষি করে চলছে ভিক্টর ক্ল্যাসিকের বাস। এরকম রেষারেষির কারণেই গেলো বৃহস্পতিবার রামপুরায় দুজনকে চাপা দেয় এ পরিবহনের একটি বাস। তারপরও চরিত্র বদলায়নি ভিক্টর ক্ল্যাসিক বাসের। যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে সড়কের মাঝখানে। কোথাও আবার রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে বাস পার্কিং করছে।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের এমডি আশরাফুল ইসলাম আশরাফ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মালিকদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। পাশাপাশি চালকদের নিয়মিত বেতন ভাতার আওতায় আনতে হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস