প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাসে শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তবে আশ্বাস অনুযায়ী দেখা না মেলায়, তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামছেন তারা।
পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডাঃ জাবির হোসেন জানান, বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়া হবে। কথা দিয়ে কথা রাখেননি তারা। লিখিত প্রজ্ঞাপন না এলে শাহবাগ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আশ্বাস নয় প্রমাণ চাই পঞ্চাশ হাজার ভাতা চাই, ঐক্য ঐক্য চিকিৎসকের ঐক্য, খুদা পেটে চিকিৎসা আর নয়।
তিনি আরও জানান ঢাকা মেডিকেলের বাগান গেটে আজ সকাল থেকেই আমাদের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলছে। এরপর আমরা একটি মৌন মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভিতর দিয়ে দুই নম্বর গেট দিয়ে বকশিবাজার হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত যাব। সেখানে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে আমাদের কর্মসূচি। এরপর আমরা আগামীকাল শাহবাগ মোড়ে আবার কর্মসূচি পালন করব। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাগান গেটে তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
তিনি আরও জানান,যতদিন না পর্যন্ত সরকার আমাদের ভাতা ২০,০০০হাজার টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকায় উন্নীত না করে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না নেয়, ততদিন চলবে আমাদেরএই কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি।
১৬ জুলাই শাহবাগে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে। সেদিন সকাল ১০ টায় বিএসএমএমইউ বটতলাতে সমবেত হবেন।
তিনি আরও জানান,ঢাকার বাইরের মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অবস্থান ধর্মঘট এবং কর্মবিরতি পালন করবেন।
এর আগে গত সোমবার (১০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার আশ্বাসে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা দুই বছর থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন এবং এই সময়টা তারা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দিতে বাধ্য। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী, তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।
এ জন্য তারা সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন, যা একটা বড় শহরে থেকে সংসার পরিচালনার জন্য যৎসামান্য বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বাড়ি ভাড়া ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে উচ্চ বাজার মূল্যের এই কঠিন সময়ে সংসার পরিচালনা করা কষ্টের এবং অমানবিক বলে জানান তারা। তাই দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছেন তারা।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস