• মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
বাঘাইহাট বাজার বয়কট প্রত্যাহার করেছে সাজেকবাসী মাটিরাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় শাড়ি ও টি-শার্ট উদ্ধার কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী কলেজ ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন রামগড় একতা সমাজ সেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ খাগড়াছড়িতে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন করেছে ২৩ বিজিবি খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা মহালছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির মানবিক উদ্দ্যোগ, ঈদ উপকরণ হিসেবে গরুর মাংস বিতরণ ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পানছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে মহাপরিচালকের উপহার সামগ্রী বিতরণ। মহালছড়িতে পালিত হয়েছে বিশ্ব তামাক দিবস ২০২৫ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত: পানছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ পানছড়িতে দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে ছাগল ও শুকর বিতরণ দৌলতদিয়া পোড়াভিটা থেকে মাদক সেবী ও মাদক কারবারি আটক

চরফ্যাশনে মশারি জাল দিয়ে গলদা-বাগদা আহরণ, ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ!

হাসান লিটন, চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধিঃ / ৫১০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

চরফ্যাশনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা ও বুড়োগৌরাঙ্গ নদীতে অবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির পোনা আহরণ। প্রকাশ্যে পোনা আহরণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি ধরতে যে জাল ব্যবহার করা হয় তাতে ধ্বংস হয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। নদীতে পোনা শিকারে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৫ দিন পোনা শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে সে নিষেধাজ্ঞা মানছে না চরফ্যাশনের জেলেরা। মেঘনার উপকূলীয় অঞ্চলে গলদা-বাগদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির রেনু অবস্থান করে এবং জোয়ারের সময় এসব রেনু পোনা পাড়ে চলে আসে বলে জানা যায়। তখন এক শ্রেণির জেলে গলদা-বাগদা চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে নদী ও সামুদ্রিক প্রজাতির বিভিন্ন পোনা নিধন করছেন। রোববার(১৫ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা চরফারুকি বুড়োগৌরাঙ্গ নদীর এলাকা জুড়ে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির পোনা ধরার মহাউৎসব।
ছেলে, বুড়ো, শিশু সবাই মশারি এবং ঠেলা জাল নিয়ে চিংড়ি রেণু আহরণ করছে। একজন জেলে প্রতিদিন ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার পোনা ধরতে পারে। আড়তদারের কাছে ১ শত পোনা ১ শ থেকে ১ শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করে। আড়তদার চিংড়ি ঘের-মালিকদের কাছে ১ শ বগদা পোনা ১২ শ টাকা করে বিক্রি করেন। মহাজনরা অগ্রিম ঋণ দেওয়ায় পোনা শিকারে উৎসাহী হয়ে উঠছে জেলেরা। রেনু পোনা শিকারি হান্নান , ও হেজন আলী জানান, গলদা চিংড়ির পোনা ধরা যে অবৈধ, তা তারা জানেন। কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই রেনু পোনা শিকার করতে হচ্ছে তাদের। রেনু ব্যবসায়ী ছাবের আহমেদ বলেন, মেঘনা ও বুড়োগৌরাঙ্গ নদীর গলদা চিংড়ির পোনা অল্প সময়ে বড় হয়ে যায়। এ জন্য খুলনা ও বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে মেঘনার পোনার কদর বেশি। জেলেদের কাছ থেকে তারা রেনু পোনা কিনে গলদা ও বাগদা চিংড়ির ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করেন। এ ব্যবসায় তাদের লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। এর সঙ্গে এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত আছে বলে তিনি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সচেতন মহলের কয়েকজন জানায়, প্রতি মৌসুমে এখানে কোটি টাকার গলদা চিংড়ির পোনা বিক্রি হয়। চিংড়ির পোনা আহরণ করতে গিয়ে মাছের প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নদীতে আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনদিন পোনা আহরণ বেড়েই চলেছে। চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মারুফ মিনার বলেন, গলদা- বাগদা রেণু পোনা ধ্বংস করা অবৈধ। যারা অবৈধভাবে রেণু পোনা আহরণ করছে তাদেরকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের কারণে নদী থেকে পোনা ধরা বন্ধ করা যাচ্ছে না। পোনা আহরণ বন্ধে প্রয়োজনে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ