পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সমগ্র মানবজাতির শিরোমণি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন আজ। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ। অন্ধকার যুগ থেকে মানবজাতির মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহকে প্রেরণ করেন এই ধরাধামে।। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ওফাত লাভ করেন। বিশ্বের মুসলমানরা দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি বা সিরাতুন্নবি (সা.) হিসাবে পালন করেন। বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় ছুটি।
প্রতি বছরের ন্যায় আজ রবিবার ৯ ই অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পুটিবিলা ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে জশনে জুলুস বের করা হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও গউছিয়া কমিটির ব্যানারে বের হওয়া জসনে জুলুস মহেশখালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদদক্ষিণ করে পুনরায় মাদ্রাসার মাঠে এসে সমাপ্ত হয়।
পরে সেখানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং রাসুল (সা:) এর জীবন চরিত নিয়ে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এতে
ইসলামী যুবসেনা মহেশখালী উপজেলা (দক্ষিণ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আশরাফ উল্লাহ’র সঞ্চালনায় ও মহেশখালী উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি শামশুল আলম (সাবেক চেয়ারম্যান) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জুলুসের উদ্বোধন ঘোষনা করেন- মহেশখালী- কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুটিবিলা ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আনছারুল করিম, মহেশখালী উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা শফিউল আলম, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছৈয়দ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শফিউল আলম খান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহেশখালী উপজেলা (দক্ষিণ) সভাপতি মাওলানা নুরুচ্ছা কাদেরী, সহ-সভাপতি মাওলানা মোস্তাক আহমদ ছোবাহানী, ষাইটমারা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নেজাম উদ্দিন হেলালী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহেশখালী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল হাকিম’সহ মহেশখালী উপজেলার নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা, ছাত্রসেনা, হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ সহ বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদের খতিব ও ইমামবৃন্দ ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগণ জুলুসে অংশগ্রহণ করে। মিলাদ, কিয়াম, মুনাজাত মধ্য দিয়ে মাহফিল সমাপ্ত হয়।
মহেশখালী উপজেলার মতো জশনে জুলুসে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণে ৮ ইউনিয়নে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে জশনে জুলুস বের হয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও গাউছিয়া কমিটির ব্যানারে।
এম/এস