ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে মো. ইলিয়াছ হোসেনের স্বপ্ন নিভে যেতে বসেছিল। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া অদম্য মেধাবী এই শিক্ষার্থী যখন দিশেহারা, ঠিক তখনই সহায়তার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মো.ইলিয়াছ হোসেনের এর হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
মো. ইলিয়াছ হোসেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা দরিদ্র কৃষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন‘র ছেলে।
জানা যায়, মো. ইলিয়াছ হোসেন মাটিরাঙ্গার শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর জিপিএ ৫.০০ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ভর্তির আবেদন করলে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলেও আর্থিক সংকটের কারণে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানার পর অদম্য মেধাবী মো. ইলিয়াছ হোসেনকে তার কার্যালয়ে ডেকে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী। এবং ভবিষ্যতে তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে যে কোন সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী সহযোগীতা পেয়ে ইউএনও‘র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, স্যার আমার পাশে না দাঁড়ালে আমার লেখাপড়া এখানেই থেমে যেতো। স্যারের সহযোগিতায় আমি এখন কলেজে ভর্তি হতে পারবো। আমি স্যারের কাছে আজীবন ঋণি হয়ে গেলাম।
মানুষের কল্যাণের জন্য সরকার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, এ উপজেলায় একটি মেধাবী সন্তানও যেন পড়াশুনা থেকে ঝড়ে না পড়ে সেটি নিশ্চিত করতে সবসময় উপজেলা প্রশাসন সবসময় অদম্য মেধাবীদের পাশে থাকবে।