মোঃ মহাসিন মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সমৃদ্ধ দীঘিনালা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ৩৪ তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা নিজের বর্তমান কর্মস্থল দীঘিনালা উপজেলাকে সকল ক্ষেত্রে একটি সমৃদ্ধ উপজেলা বিনির্মানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
গত বছরের ২৫ জুলাই দীঘিনালা উপজেলার ২৭ তম নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের পর থেকেই তাঁর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টেছে উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সহ পুরো উপজেলার সার্বিক চিত্র।
সরকারি, বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরে কমেছে জন ভোগান্তি। ফিরে এসেছে সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা। বেড়েছে জনসেবার মানও।
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা মতে দীঘিনালাকে একটি উন্নত, আধুনিক, জনবান্ধন ও শিক্ষা বান্ধব সহ সকল ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে একটি অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে এ উপজেলার নামও দিয়েছেন ‘সমৃদ্ধ দীঘিনালা’।
জনবান্ধন ও শিক্ষা বান্ধব এই কর্মকর্তার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ সহ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন উপজেলার আপামর জনতা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা।
এছাড়াও দাপ্তরিক কাজের বাইরেও সর্বক্ষেত্রে রয়েছে এই কর্মকর্তার পদচারণা। অবসর সময় পেলেই ছুটে বেড়ান মাঠ, ঘাট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সকলের মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছেন সুশিক্ষা, দেশপ্রেম ও আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার বার্তা। উপজেলার প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার মানোন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন তিনি। খোঁজখবর রাখেন উপজেলার অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা সাধারণ মানুষ সহ সর্বস্থরের জনগনের। নিজ দায়িত্বে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রকৃত উপকার ভোগীদের মাঝে পৌছে দিয়েছেন যাবতীয় সেবা কার্যক্রম।
উপজেলার বোয়ালখালী ইউপির যৌথ খামার পাড়া এলাকার বিধবা নারী অজিতা ত্রিপুরা, কবাখালি ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নারী বিন্দে বাঁশি চাকমা, পশ্চিম কাঁঠালতলী এলাকার বিধবা নারী নমিতা শীল সহ আরো একাধিক উপকার ভোগীরা এই কর্মকর্তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ইতিবাচক মন্তব্য করেন।
উপজেলার কুজেন্দ্র মল্লিকা মর্ডান কলেজের অধ্যক্ষ সাধন ত্রিপুরা বলেন, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম মহোদয় একজন জনবান্ধন, শিক্ষকবান্ধব, পরিশ্রমী, খেলাধূলা ও সংস্কৃতিমনা একজন মানুষ। নিজে বই পড়েন এবং অন্যদেরও উৎসাহ করেন। সর্বোপরি তিনি একজন চৌকস সরকারি কর্মকর্তা, যিনি দীঘিনালার মানুষের মনের কথাগুলো বুঝতে পারেন এবং সে অনুযায়ী কৌশলী সিদ্ধান্ত নেন। এক কথায় দীঘিনালার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে সারাজীবন উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন তিনি।
উপজেলার মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা খাতুন বলেন, দীঘিনালায় এপর্যন্ত যতগুলো নির্বাহী কর্মকর্তা এসেছেন তারমধ্যে মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম স্যার ব্যতিক্রমি। তিনি দীঘিনালা বাসির মন ছুঁতে পেরেছেন বলে আমরা মনে করি। জাতি ধর্ম বর্ণ ও সকল শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে তাঁর দরজা সকলের জন্য খোলা থাকে সবসময়। এছাড়াও দীঘিনালাকে একটি সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান বলেন, দীঘিনালা উপজেলা বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম মহোদয় খুবই দায়িত্ববান ও নির্বিক একজন মানুষ। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় দীঘিনালাবাসী সন্তুষ্ট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দীঘিনালাকে একটি সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন আমার। কাজও করে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা পেলে উপজেলা বাসীকে সমৃদ্ধ দীঘিনালা উপজেলা উপহার দিতে পারবো বলে আশা করি।