আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের সংরক্ষিত সদস্য বিধবা পারভীন আক্তার কুঁড়ে ঘরে মানবেতর জীবনযাপনের খবরে এগিয়ে এসেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের নিজস্ব অর্থায়নে তিন কক্ষ ও টিনের ছাউনি বিশিষ্ট ঘরের নির্মাণ কাজ স্বচোখে দেখতে যান জেলা প্রশাসক ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, একজন বিধবা ও হত-দরিদ্র নারী নিজের ভাগ্যোন্নয়নের চিন্তা না করে কুঁড়ে ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করা স্বত্বেও জনসেবায় ব্রত! সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় একজন নারী ইউপি সদস্যের দূর্বিসহ ও অমানবিক জীবনযাপনের বিষয়টি জানতে পেরে( জেলা প্রশাসকের) নিজস্ব অর্থায়ণে ৩ কক্ষ ও টিনসেট বিশিষ্ট একটি ঘর করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি।
আজ ঘরের চলমান কাজ দেখে একটু স্বস্তি পেলাম। একজন জনসেবকের স্বস্তির জন্য অন্তত একটি ঘর করে দিতে পারলাম। ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে পারভীন আক্তার বলেন, জীবনে কল্পনাও করিনি ইট, সিমেন্টের গাঁথুনি ও টিনের ছাউনি বেষ্টিত ঘরে একমাত্র স্কুলপড়ুয়া পুত্র নিয়ে উঠতে পারব। সবই হয়েছে ইউএনও ও ডিসি মহোদয়ের প্রচেষ্টায়। আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুক, মঙ্গল করুক।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ভূমি) রুম্পা ঘোষ, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিমসহ জেলা ও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।