খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসায় পাসের হার ৭৪%, জিপিএ-৫, ০৭ জন ও ভোকেশনালে পাসের হার ৮৮%, জিপিএ- পেয়েছেন ৩জন।
উপজেলার ৮টি মাধ্যমিক স্কুল, ০৩টি দাখিল মাদরাসা ও ০১একটি দাখিল ভোকেশনাল কেন্দ্রের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৬জন। পাসের হার ৯৮%। জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে এগিয়ে ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে পাসের হার ৭২% ও জিপিএ ৫জন। একমাত্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৬% হলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ০১জন। প্রথম এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৬২ শতাংশ, জিপিএ-৫ মাত্র ০১জন। ৩টি দাখিল মাদরাসায় পাসের হার ৭৭%। এবং দাখিল ভোকেশনাল কেন্দ্রে পাসের হার ৮৮%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।
প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক ফলাফল- বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৮%, রাণী নিহার দেবী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৬%, জিপিএ-৫ একজন। তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৬২% জিপিএ-৫ একজন। যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৭৩%। বাটনাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৪৮%। ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৭২% জিপিএ-৫, ৫জন। কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৫৫%।
মানিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৬৪%। দক্ষিণ চেঙ্গুছড়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় পাসের হার ৬৯%, ভোকেশনালে পাসের হার ৮৮% জিপিএ-৫,৩জন। গাড়ীটানা ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় পাসের হার ৮৫%। মানিকছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা পাসের হার ৭৭%।
উপজেলার সামগ্রিক ফলাফলে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদেরা সন্তোষজনক নয়। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক মো. কামাল হোসেন বলেন, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার সন্তোষজনক হলেও জিপিএ-৫ মাত্র ০১জনে আমরা হতাশ! অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আতিউল ইসলাম বলেন, সামগ্রিক ফলাফল আরেকটু ভালো হওয়া দরকার ছিল। জিপিএ-৫ একবারে কম হওয়ায় প্রমাণ হয় পড়ালেখায় এখানকার শিক্ষার্থী অনেক পিছিয়ে। একমাত্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশকের পর দশক শিক্ষক সংকট! তৃণমূলে পড়ালেখার মান বাড়াতে হলে শিক্ষক সংকট দূরীকরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর হাত থেকে ডিভাইস(মোবাইল) সরাতে হবে।
রাণী নিহার দেবী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মো. নাঈমুল হক বলেন, উপজেলার প্রথম ও একমাত্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট স্বত্বেও ৯৮% শিক্ষার্থী পাস করেছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক হলে শতভাগ পাসের পাশাপাশি জিপিএ-৫ বাড়বে।