খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শ্বাসরোধ করে হোসেন আলী নামে এক ব্যক্তির ক্লু লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ সুপার আবদুল আজিজ।
পুলিশ সুপার জানান, মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় জামাই কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দেন ভিকটিম হোসেন আলী। এতে কিছুদিন কারাগারে ছিল আসামী। এ ঘটনায় সংক্ষুদ্ধ হয়ে এবং স্থানীয়ভাবে শ্বশুড়ের প্রতিবেশীদের বিরোধকে পুঁজি করে গত বৃহস্পতিবার রাতে খাবারের সাথে অচেতন হওয়ার ঔষধ মিশিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হোসেন আলীকে খুন করা হয়। পরে অন্য সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির পাশের সেফটি ট্যাঙ্কে লাশ গোপন করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, স্থানীয় কয়েকজনের সাথে বিরোধ ছিল ভিকটিম হোসেন আলীর। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের সহযোগিতা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড করা হয়।
গত শনিবার নিহতের বড় ছেলে মো. ইউনুস বাদী হয়ে মামলা করার পর তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে মেয়ের জামাই কামরুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি এলাকার নিজ বাড়ির পাশে সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে নিহত হোসেন আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ভাবে মেয়ের জামাই কামরুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ঘটনার রহস্য।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত