চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচায় অন্যের বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূ ও তার দুই শিশু সন্তান কে লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী সোহেল গংদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সেলিমের স্ত্রী খাদিজা (৩২) জানান, চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নূরহোসনের ছেলে মো. সেলিমের সাথে পারিবারিক ভাবে আমাদের বিবাহ বন্ধন হয়। এরপর থেকেই শুনতে পারি আমার শশুরা তিন ভাই ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ৬০ বছর যাবৎ ভোগদখল ও বসবাস করে আসছেন।
কিন্তু আমার শশুরের ঘরের পিছনে ঢাকাইয়া মোশারফ নামে এক ব্যাক্তি জমি ক্রয় করেছে বলে দাবী করে বসবাস করেন, সে সুবাধে মোশাররফ সহ অন্যনো লোকজন আমার শশুর বাড়ির উঠান দিয়ে চলাচল করে। আমারা আমাদের ঘরের সামনে উঠানে বাঁশ দিয়ে লাট তৈরি করে পরিবারের সদস্যের জামাকাপড় রোদ দেই।
হটাৎ গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) বিকালে মোশারফ উঠান দিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় জামাকাপড় রোদ দেওয়ার লাটে তার চলাচলে অসুবিধা হয় বলে বিভিন্ন ধরনের কথা ও গালমন্দ কর করতে থাকেন।
তার গালমন্দের প্রতিবাদ করলে আদা কিলোমিটার দূরে ভূমিদস্যু সোহেল প্রভাবশালীকে ডেকে আনলে সেও আমাকে গালিগালাজ করেন। গালিগালাজ না করতে নিষেধ করলে। এমন সময়ই সোহেল বলেন জমি থেকে উঠিয়ে দেব। এই বলে জামাকাপড় রোদ দেওয়ার লাট ভেঙে ফেলে, পাশাপাশি আমার গায়ে ইটা নিক্ষেপকরণ সহ লাঠি দিয়ে পেটান সোহেল গংরা।
এতে আমার ৭ বছর বয়সের মেয়র গায়ে ইটা পড়ে , কোলে থাকা ১৫ মাসের শিশু বাচ্চার মাথায় ইটা পড়ে আঘাত পায়, আমি লাঠির আগাতে মাটিতে পরে যাই।
পরে আমাকে ও দুই শিশু সন্তানকে আহত অবস্থায় আমার স্বামী উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত প্রভাবশালী সোহেল ও মোশারফ জানান, চলাচলে সমস্যা হওয়ায় আমরা বাঁশের লাট ভেঙে ফেলেছি,তবে গৃহবধূ ও তার দুই শিশু সন্তানকে ইটা নিক্ষেপ এবং পেটানো হয়নি।
দক্ষিণ আইচা থানার এস আই ওমিত হাসান বলেন, ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে সোহেল গং ও সেলিমদের থানায় আসতে বলেছি, দু'পক্ষ আসলে ঘটনাটি যেনে শুনে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত