দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের তেলিপাড়া টু ঠাকুর তলা আঞ্চলিক সড়ক। বড় বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহাল দশার এই সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও শুরু হয়নি সংস্কারকাজ।
মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তেলীপাড়ার মোহাম্মদপুর এই সড়কে উঠে গেছে কার্পেটিং। আর অন্য পথ দিয়ে গেলে ঘুরতে হয় আরও ৩-৪ কিলোমিটার বেশি পথ। মূল সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন সিএনজি, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কোনো সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে অসংখ্য স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিন চলছে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন, পথচারীরা। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তগুলোতে পানি জমে বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বেহাল এই সড়কে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা। ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন প্রবেশের প্রধান সড়কে পূর্ণনির্মাণাধীন রশিদ মিয়ার ব্রীজ বিকল্প সড়কে ও নিত্যসঙ্গী দীর্ঘ যানজট প্রতিনিয়তই বাড়ছে, যাবার সহজ যোগাযোগ এই রাস্তা। অথচ, রোগী ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত যাওয়া যায় না এই রাস্তাটি দিয়ে। আর বৃষ্টিতে ভোগান্তি ওঠে চরমে।
সড়কের পিচ উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে চরম দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরেই পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশাসহ আটকে পড়ছে ও মালবাহী কাভার্ড ভ্যান। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই সড়কে চলাচলকারী অসংখ্য মানুষ। আর বৃষ্টির পানি জমে একেকটি গর্ত যেন পরিণত হয়েছে ছোট ডোবায়। বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কোথাও কোথাও সড়কের মাঝখানে বিপজ্জনক স্থানে বাঁশ দিয়ে সতর্কীকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যস্ততম সড়কটির ভাঙা জায়গা গিয়ে একপাশ থেকে গাড়ি এলে অন্য পাশের গাড়িকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ সময় সৃষ্ট যানজট খানাখন্দে জমে থাকা জলজটের কারণে কর্মজীবী লোকজন সময়মতো অফিসে পৌঁছতে পারেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ জানান, এই সড়কটি সরকার কয়েক বছর আগে করলেও ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় সড়কে পানি জমে রাস্তার এই বেহাল দশা। আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এক বস্তা চাল যে বাড়িতে নেব, সে উপায়ও নাই। এসব ময়লা পানি মাড়িয়ে প্রতিনিয়ত পেটের তাগিদে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। আমরা সরকারের কাছে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ছোট মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়ান সিকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুর তলা থেকে তেলীপাড়া সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত লোকজন আমাদের বকাবকি করে। ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য অর্থায়নে এত বড় সড়ক কিছুই করা সম্ভব না। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেন, এরই মধ্যে সড়কটি সংস্কারের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে। এ বছরের মধ্যে সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে এখন আর শুধু আশ্বাসের কথা নয়, আঞ্চলিক এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন চলাচলকারী যাত্রী, যানচালক ও স্থানীয়রা।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত