খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে স্থানীয়ভাবে মোটর সাইকেল চালক সমিতি কর্তৃক ভাড়া নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাড়া নির্ধারণ করেছেন।
স্বাভাবিক আমাদের সকলেরই জানা প্রচলিত জ্বালানী হচ্ছে অকটেন। অকটেনের মূল্য প্রায় ৫১% বৃদ্ধি হওয়ায় ভাড়াটে মোটর সাইকেলের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়ানো যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধি কোনো মতে কাম্য নয়।
শিক্ষক রত্ন উজ্জ্বল চাকমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন মহালছড়ি- মনাটেক গ্রাম পর্যন্ত আগের নির্ধারিত ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। বর্তমানে ভাড়া ১২০টাকা অর্থাৎ দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। মহালছড়ি বাজার- মিলনপুর আগের ভাড়া ছিলে ৭০টাকা। বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। এমন অসঙ্গতি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। জনস্বার্থের কথা ভেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আশা করি বিষয়টি সু-বিবেচনা করবেন।
বিনিতা খীসা পোস্টে কমেন্টে বলেন আসলে মনাটেক টু মহালছড়ি নির্ধারিত বর্তমান ভাড়া ১২০ টাকা মানা যায় না বেশি হয়ে যায়। জ্বালানি তেলের দাম যে হারে বেড়েছে,সে হারে ভাড়া বাড়িয়ে ৭০/৮০ টাকা হলে মানানসই হতো। একটি মোটর বাইক ১ লিটার অকটেন দিয়ে মিনিমাম ৪০ কি.মি চালানো যাই। মহালছড়ি বাজার টু মনাটেক বেশি হলে ৩ কি.মি. হবে।
সে হিসেবে হিসাব করলে প্রতি লিটারে ৮ বার আপ-ডাউন করা যায়। তাহলে ১ লিটার অকটেন দিয়ে কত টাকা ইনকাম করা যায়?= (৮×১২০) = ৯৬০ টাকা।তার মানে এক লিটার দিয়ে ৯৬০ টাকা! সাধারণ যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ভাড়া কমানো উচিত বলে মনে করি।
অংচিনু মারমা বাবলু বলেন এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নজর দেওয়া দরকার অন্যথায় নাম সর্বস্ব কিছু সমিতি নিজেদের সুবিধা মত ভাড়া নির্ধারণ করে সাধারণ জনগণকে ভোগান্তি তে ফেলবে।
এবিষয়ে মোটর সাইকেল চালক সমিতি'র সভাপতি রাজু মারমার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন(01876386059) উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা উপজেলা চেয়ারম্যান বা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে সভাপতি আমি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল মোটরসাইকেল চালক মিলে নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাড়া নির্ধারণ করেন।
তবে এ বিষয়ে মোটর সাইকেল চালক সমিতি'র সাধারণ সম্পাদক জ্ঞান জৌতি চাকমাকে (01634826706) কল দিলে,তিনি কলটি রিসিভ করেন নি।
এমন ভাড়া নিয়ে মহালছড়ি উপজেলাতে বসবাসরত জনগণের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি এই বিরুপ প্রতিক্রিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়িয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সাথে পরামর্শবিহীন বা আলোচনাবিহীন ভাড়া বাড়ানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত