বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু চাকরির বাজারে নয়, বরং নিজে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের নারীরাও কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই।
সরেজমিনে প্রতিবেদনে…মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের রঞ্জিত দে এর স্ত্রী অর্পনা দে তার স্বামী সাপোর্টে, ফার্মেসী বিষয়ে নিজ যোগ্যতায় ও আত্মবিশ্বাস এগিয়ে যাচ্ছে।
অর্পনা দে বলেন- কলেজ পড়াকালীন বিয়ে হয়ে গত ২০০৭ সালে সংসার-সন্তান এগুলো করতে গিয়ে চাকুরী করার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সবসময় মাথায় থাকতো, আমাকে কিছু করতে হবে এ উদ্যোগে। তিনি জাতীয় দৈনিক আজকের সংবাদের প্রতিনিধি হ্যাপী করিম’কে আরও জানান নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনে প্রচুর পরিশ্রম করো। নতুন লক্ষ্য স্থির করা বা নতুন স্বপ্ন দেখার জন্য বয়স কোনও বাধাই নয়। আমার বাবার বাড়ী টেকনাফ হলেও শাশুর বাড়ীর এলাকার লোকজন ও স্বামী নিজেও ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি’র সুবাদে আমাকে যে অনুপ্রেরণা এবং আমি নিজের আত্মবিশ্বাস হারাইনি। আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের প্রাইভেট পড়ায়তাম। আর এখন দোকান ভাড়া নিয়ে, গত ১৫ জুলাই থেকে ফার্মেসী ব্যবসা চালু করি। এর সাথে বিকাশ ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা চালু করবো।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এলাকার কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে কিংবা আহত হলে তিনি সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। গভীর রাত হলেও এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে জানালে তিনি দ্রুত তাদের সহযোগিতা এগিয়ে আসেন। এখন তিনি সমাজের বোঝা নন দৃষ্টান্ত। তিনি এলাকার মানুষের আস্থা ও ভরসার প্রতীক। একজন নারী হওয়া সত্তেও অর্পনা দে নিজের আত্মবিশ্বাস ও নিজ চেষ্টায় সে পড়াশুনা করে বর্তমানে স্থানীয় হিন্দুপাড়া বাজারে ফার্মেসী ব্যবসা পরিচালনা করছে। এলাকার কেউ অসুস্থ এমন খবর পেলে সে ছুটে যায় ওই রোগীর বাড়িতে। এলাকার মানুষের কাছে সে এখন ভরসার প্রতীক। এমন যুবক তরুণ সমাজের কাছে আদর্শ হতে পারে।
মহেশখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মন্জুর মোরশেদ জানান, সে নারী হওয়ার পরেও নিজ উদ্যোগে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এটি গর্বের বিষয়। তবে যেহেতু আমরা সমাজ সেবা অফিস থেকে আগামীতে সরকারীভাবে সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করে দিবো।
এম/এস