উপজেলার মেরুং ইউপি অধীনস্থ রশিক নগর গুলছড়ি এলাকায় একটি রাবার বাগান কর্তনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
তাঁদের মধ্যে এক পক্ষ বলছে তাঁদের নিজেদের বন্দোবস্তিকৃত জায়গা দখল করে সেলিম এন্ড ব্রাদার্স প্রতিষ্ঠানের নামে রাবার বাগান সৃজন করেছিলো। সেখানে বাঁধা দেয়ায় তাঁরা নিজেরা রাবার বাগান কর্তন করে গাছকাটার মিথ্যে মামলায় আসামি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অপরপক্ষ সেলিম এন্ড ব্রাদার্স কর্তৃপক্ষ দাবী করছে তাদের প্রতিষ্ঠানের সৃজিত বাগান কেটে বেদখল দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী জানান, রাবার বাগান সৃজনকৃত জায়গাটি আমার শ্বশুর মৃত মানিক শেখের নামে বন্দোবস্তীকৃত। শ্বশুরের মৃত্যুর পর থেকে আমার স্বামী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের ভোগদখলে আছে।
আমার স্বামী রাঙ্গুনিয়ায় কর্মরত থাকার কারণে সুযোগ নিয়ে সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের লোকজন রাবার বাগান সৃজন করে জায়গাটি জবর দখল শুরু করে। জানতে পেয়ে সেখানে গিয়ে আমরা বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের লোকজন ষড়যন্ত্র করে তাঁদের শ্রমিক দিয়ে রাবার বাগান কঅতন করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
অপরদিকে সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের তত্বাবধায়ক খলিলুর রহমান জানায়, মাহমুদা বেগম লাকী সম্প্রতি বাগানে দেশীয় অস্ত্রসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক নিয়ে উপস্থিত হয়ে দাবী করেন এ জায়গা তাঁর স্বামী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের। এসময় আমাদের উপর আক্রমণ করে ও নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ৯'শত রাবার গাছ কর্তন করে ফেলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৃজনকৃত বাগানটি গাছ শূন্য এবং কিছু কর্তনকৃত গাছের টুকরো পড়ে আছে সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের অফিসের সামনে।
সেখানে সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের কর্মরত শ্রমিক নুরুল ইসলাম ও রিজাব চাকমা সহ বেশ কয়েকজন জানান, মাহমুদা বেগম লাকী লোকজন সহ বাগানে এসে সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের সৃজনকৃত গাছগুলো কেটে ফেলতে বলেন। এসময় সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের তত্ত্বাবধায়ক খলিলুর রহমান আমাদের নির্দেশ করলে আমরা নিজেরাই গাছগুলো কেটে ফেলি৷
এদিকে পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, আমার পিতার নামীয় বন্দোবস্তিকৃত ৫'একর জমি সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের লোকজন বিভিন্ন সময় রাতের আধাঁরে দখলের চেষ্টা করে। এমনকি বাগানের অনেকগুলো সেগুনগাছ কর্তন করে ফেলে। যা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং আদালতে মামলা চলমান।
এবিষয়ে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের ম্যানেজার মতি রঞ্জন ত্রিপুরা জানায়, প্রতিষ্ঠানের নামে ক্রয়কৃত ও দখলকৃত ভূমিতেই বাগান সৃজন করা হয়েছে। তাছাড়া পাশ্ববর্তী মাহবুব আলম যে অভিযোগ করেছে সেটাও ভিত্তিহীন।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত