বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এঁর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগষ্ট) সকালের দিকে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে অলোচনা সভার আয়োজন করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা রিসোর্স ইন্সট্রাক্টর মো: আজগর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলী ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো.খায়রুল আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহতাছিম বিল্লাহ্, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ, বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্ল্যাহ ও মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গনমাধ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী, আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে মানবতার ঘৃণ্য শত্রুদের নির্মম-নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।
বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তার। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মানোন্নয়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উদ্দীপ্ত তারুণ্যের অগ্রদূত এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম পথিকৃত, বহুমাত্রিক গুণে গুণান্বিত এই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বাঙালির চিন্তা-চেতনায় ও জাতির ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের এই দিনে শেখ কামাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কালরাত্রিতে তিনি জাতির জনকের হত্যাকারী ঘৃণ্য শত্রুদের নির্মম-নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেন।
এম/এস