মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ানের কালোকান্দি গ্রামের মোঃ মকবুল মোল্লার ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে মোছাঃ পিঙ্কি খাতুন (১৩) কে গত ২৪ জুলাই রবিবার রাত আনুমানিক ১০:৩০ টায় একই গ্রামের তিন বখাটে রব্বানী, আসাদ ও আলমগীর ধর্ষণ করেছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে মেয়ের মা অভিযোগ করেন দীর্য ৬ মাস ধরে এই তিন বখাটে পিঙ্কিকে নানা ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে উত্তক্ত করে আসছিলো, কিন্তু গত রাতে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার উদ্দেশে টয়লেটের দিকে বের হলে, বাড়ির পাশে ওঁৎ পেতে থাকা এই ৩ জন বখাটে দ্রুতপিংকির মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে পার্শবর্তী সিয়াম ইটের ভাটাতে নিয়ে যায় এবং পাশবিক নির্যাতন করে এর কিছুক্ষন পরে ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় মেয়েকে হন্নে হয়ে খুঁজতে থাকে সবাই এবং পরে ইট ভাটায় অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় ও পরে অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বর্তমানে মেয়েটি মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য দলাদলি ও কোন্দলকে কেন্দ্র করে পিঙ্কি খাতুনের বাবা মকবুল মোল্লাকে মারার উদ্দেশে এই তিন যুবক আগে থেকেই বাড়ির আশেপাশে অবস্থান নিয়েছিল, মেয়েটি ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তারা ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলে। তথাপি, মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ডাক্তার লাইজুকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ধর্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্তু পরিষ্কার করে কিছু বলা যাবে না বলে জানান। এদিকে, গ্রাম্য মাতবরদের দিয়ে কুড়ি হাজার টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পরিবারটিকে রীতিমতো চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর তথ্য মতে, মামলার অন্যতম আসামি বখাটে রাব্বানী একজন নিকৃষ্ট স্বভাবের মানুষ, তার বিরুদ্ধে মেয়েলি বিষয়ক অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে, একাধিক মেয়ে সাথে দুর্ব্যবহার করলেও, প্রকাশ্যে ভয়ে কেও মুখ খুলতে সাহস পায় না। পরিবারের পক্ষ থেকে মাগুরা জজকোর্ট আদালতে ইতিমধ্যে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং নিরাপত্তার জন্য মাগুরা প্রশাসনের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
বার্তা সম্পাদক : এম. লোকমান।
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত