খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ধনী, সচ্ছল ও বৃত্তশালী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বীর নিবাস বরাদ্দ বাতিল করে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে বীর নিবাস বরাদ্দ প্রদানের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারগন।
১৩ জুলাই (বুধবার) বেলা ১১ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারগনের পক্ষে অভিযোগ তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ এরশাদ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি এর স্মারক নং-০৫.৪২.৪৬০০.০১৪.১৪.০১৩.২১-১৩৭৪, তারিখ ০৬/১০/২০২১ খ্রিঃ সূত্রে এবং ৩০ জুন ২০২২ খ্রিঃ তারিখে দীঘিনালা উপজেলায় ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের অনুকূলে আবাসন বরাদ্দের প্রশাসনিক অনুমোদন হয়।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে ৫ জনের অনুকূলে বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাঁদের ৪ জনই ধনী, সচ্ছল ও বৃত্তশালী। এই ৪ জনের মধ্যে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্পষ্ট প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বীর নিবাস নিজের নামে বরাদ্দ এনেছেন, তা হলো বীর নিবাসের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণক স্বরুপ যে লাল মুক্তিবার্তা নং ব্যবহার করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও জালিয়াতি। যা তাঁদের তথ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রমাণক নেই।
তিনি আরও বলেন, ধনী, সচ্ছল ও বৃত্তশালী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে বরাদ্দ বাড়ি বীর নিবাস বাতিল করে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে প্রদানের জন্য আমরা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারগন গত ১২ জুন ২০২২ খ্রিঃ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করলে কোনো সুরহা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। পরিশেষে বলতে চাই স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ২০১৮-২২ সালের মধ্যে গেজেটের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেয়ে ধনী , সচ্ছল ও বৃত্তশালী হয়েও অবৈধ ভাবে বীর নিবাস বরাদ্দ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মান্নান গাজী(গেজেট-৬৭৪), মোঃ আব্দুল আজিজ(গেজেট-৬৭৭), মোঃ আব্দুল মোতালেব(গেজেট-৬৭৯) ও মোঃ মোসলেম উদ্দীন(গেজেট-৮৯) তাঁদের নামে বরাদ্দকৃত বীর নিবাস বাতিল করে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে তা বন্টন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, সচিব ও মন্ত্রী বরাবর দাবী জানানো হয়।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত