খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও বন বীভাগের যোথ অভিযানে ৭টি বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ মো. রবিউল ইসলাম রুবেল (৪০) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে তাকে আটক করা হয়। এসময় তল্লাশী চালিয়ে তার ঘরে থাকা ৭টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
যৌথ অভিযানে আটক মো. রবিউল ইসলাম রুবেল মাটিরাঙ্গা পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের ইসলাক মীরের ছেলে।
বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, রুবেল সংঘবদ্ধ তক্ষক পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে অতি উচ্চ মূল্যে তক্ষক পাচার করে আসছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের জোন অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের জোন এনসিও সার্জেন্ট মো: হানিফুর রহমান ও মাটিরাঙ্গা বন বিভাগের ফরেষ্টার মো: রোকনুজ্জামান ও ফরেষ্টার মো:জাহাঙ্গীর আলমমের এর নেতৃত্বে রসুলপুর গ্রামে ইসরাক মীরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে মো. রবিউল ইসলাম রুবেল (৪০) নামের এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। তার ঘরে থাকা ৭টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের ফরেষ্টার মো: রোকনুজ্জামান আসামীর বিরুদ্ধে বন আইনে খাগড়াছড়ির চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত এর আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ চীফজুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত আসামীকে জেল হাজতে ফেরন করেন।
মাটিরাঙ্গা ফরেষ্ট রেঞ্জার জিএম আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নির্বিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকর ও বয়স্ক গাছে এরা বসবাস করে। বর্তমানে তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোক রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। এসব অসাধু ব্যক্তির জন্য দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। প্রাণিগুলো রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
পরে খাগড়াছড়ি চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত ও বনবিভাগের উপস্থিতিতে জনস্মূখে উদ্ধারকৃত তক্ষক গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত