খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একই এলাকার বাসিন্দার ষরযন্ত্রের স্বীকার হয়েছে বাদশা মিয়া ও তাঁর ছেলে রাব্বি সহ পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, উপজেলার ৫ নং বাবুছড়া ইউপি অধীনস্থ বাবুছড়া বাজারের পাশ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে বলেও জানা যায়।
বাদশা মিয়া জানান, আমার ছেলে রাব্বি গত ২০ মে সন্ধা ৭টায় দিকে বাবুছড়া বাজারের স্থানীয় সেলুনের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় তাঁর বন্ধুর সাথে কথা বলছিলো। এমতাবস্থায় পাশ্ববর্তী এলাকার জসিমের মেয়ে প্রিয়া মনি(১৮) সেলুনের দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাব্বির বন্ধু রাব্বির পাশ থেকে উঠে চলে যাচ্ছিলো। তখন আমার ছেলে তাঁর বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলে ঐ কই যাচ্ছিস। এমতাবস্থায় জসিমের মেয়ে প্রিয়া মনি কিছু না বুঝেই আমার ছেলের প্রতি উদ্দেশ্য করে কেন ডাক দিয়েছিস বলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
বর্ণিত ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে আমার ছেলে বাবুছড়া বাজারে গেলে প্রিয়া মনির বাবা জসিম ও তাঁর লোকজন আমার ছেলেকে একা পেয়ে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে চলে যায়। তাৎক্ষণিক আমার ছেলে বাড়িতে চলে আসে। কিছুক্ষণ পরই জসিম ও তাঁর লোকজন রাম দা ও লাঠি নিয়ে আমার বাড়িতে আসিয়া আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আমার ছেলে রাব্বি কপালে, নাকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হওয়ায় প্রচন্ড রক্তপাত হয়। পাশাপাশি তাঁদের হামলার স্বীকার হয়ে রক্তাক্ত হয় আমার স্ত্রী ও শালিকা এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে আহত করেন এবং আমার পরিবারের সদস্যের শ্লীলতা হানী করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনানাকে কেন্দ্র করে জসিম ও তাঁর লোকজন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মিডিয়াতেও প্রচার করেছেন।
শুধু তাই নয় এ ঘটনায় জসিম ও তাঁর লোকজন আমার ছেলে সহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের ষরযন্ত্রমূলক ভাবে অভিযুক্ত করে আইনি জটিলতায় ফেলে আমার ছেলে সহ আমি ও আমার পরিবার বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়েছি। এমতাবস্থায় আমি উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি।
এ বিষয়ে জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে কনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
এম/এস