• বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অচিরেই জিও ব্যাগ,বাঁধ ও ব্লক দিন মেঘনার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে মানববন্ধনে এলাকাবাসী আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সাথে মতবিনিময় মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বান্দরবানে ইটভাটা বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষাধিক শ্রমিক শত কোটি টাকা ক্ষতি অবৈধ বালি উত্তোলনের মহোৎসব-,উল্টো প্রাণ নাশের হুমকি মহালছড়ি বাসীর ভালোবাসায় সিক্ত জননেতা ওয়াদুদ ভুইয়া গোয়ালন্দে পৃথক ভাবে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মোল্লাহাটে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে নানা আয়োজন বাঘাইছড়িতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ণাঢ্য র‍্যালী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে গ্রেফতার ২

মাদারীপুরে সন্তানদের সম্পত্তি লিখে দেয়ার পরেও হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে না বাবার

আরিফুর রহমান, মাদারীপুর সদর প্রতিনিধি  / ৫৬৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরিফুর রহমান, মাদারীপুর সদর প্রতিনিধি 
মাদারীপুরে এক সময়ের তাজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক ও কোটিপতি ব্যবসায়ী নুরু মাতুব্বর ৪ সন্তানকে বিঘার পর বিঘা সম্পত্তি লিখে দেয়ার পরেও পরিবারের জালাতনে গত ১৫ বছর ধরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দুবেলা খাবার খেতেন। সেই ব্যক্তি চিকিৎসার অভাবে মুমুর্ষ অবস্থায় সদর হাসপাতালের ফ্লোরে পড়ে আছেন। অথচ, ৪দিনেও খোঁজ নিতে আসেননি কেউ। চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরতে পারবেননা নুর হোসেন। এদিকে সন্তানদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি বৃদ্ধ ওই বাবার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ফ্লোরে গত রোববার থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে আছেন সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামের নুরু মাতুব্বর। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা চললেও খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে তার। অথচ, ৪দিনেও পরিবার থেকে ৬০ বছর বয়সী বাবার কোন খোঁজ নিতে আসেননি কেউ। দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান কর্তৃব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ইমরানুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় চরমুগরিয়া এলাকার ‘তাজ বিড়ি ফ্যাক্টরী। পরে ফ্যাক্টরীর মালিক নরু মাতুব্বর বাড়ি বিক্রি করে ছেলেকে লন্ডন পাঠান পড়াশুনা করাতে। লন্ডন থেকে ফিরে এসে ছেলে বিয়ে করে ঢাকায় ব্যবসা করছেন। পরে নুরু মাতুব্বরের বিঘার পর বিঘা জমি তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে লিখে দেয়ার পাশাপাশি তাদের সভ্রান্ত পরিবারে বিয়েও দেন। অথচ, গত ১৫ বছর ধরে বাড়িছাড়া ওই বাবা। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে খাবার সংগ্রহ করলেও আজ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুশয্যা। এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন এলাকাবাসী। অসুস্থ্য হওয়ার পূর্বে তিনি চরমুগুরিয়া বাজার এলাকায় একটি দোকানে রাতে পাহাদার হিসেবে কাজ করতেন। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা বৃদ্ধাকে খাবার দিচ্ছে ও আদর আপ্যায়ন করছে।
নুরু মাতুব্বরের মেয়ে শামসুর নাহার চৈতী বলেন, পারিবারিক ঝামেলার কারনে বাবার সাথে যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। বাবা তার মতে করে থাকে আমারা মাকে নিয়ে আমাদের মত করে থাকি।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, এক বৃদ্ধ কয়েকদিন ধরে সদর হাসপাতালে অসুস্থ্য অবস্থায় পড়ে আছে। তার খোঁজ খবর নিতে কেউ আসে না শুনে আমি সকালে হাসাপাতালে তাকে দেখতে যাই। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়ে আসি। তার ভরণপোষণ ও খোঁজ না নেয়ায় সন্তানদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ