রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাছমারা গ্রামে একদল বখাটের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে তুলে নিতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ মে রাত ৮ টার সময় এই ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঐ গৃহবধূ চুলার খড় নিতে বাড়ির বাইরে যায়।খড় নিয়ে চুলার ঘরে যাওয়ার পথে একদল বখাটে তাকে ধাওয়া করে।ঐ সময় গৃহবধূ ভয়ে চিৎকার করতে থাকে।চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসে।এ অবস্থায় বখাটেরা লোকজন দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রামের লোকজন ধাওয়া করেও তাদের ধরতে অক্ষম হয় বলে জানা যায়।
গৃহবধূ সোনিয়া মাটিকাটা ইউনিয়ন এর ভাজন পুর গ্রামের আলমের মেয়ে। সোনিয়া গত চার মাস আগে পরিবারের সম্মতিতে মাছমারা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শাকিলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সে বর্তমানে গর্ভবতী অবস্থায় শশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিল।
ভূক্তভোগীর পরিবার প্রথমে গ্রাম্য শালিশে বিষয়টি সূরাহা করার জন্য মাটিকাটা ইউপির মেম্বার উকিলের কাছে যায়।কিন্তু বখাটের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মেম্বার বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করেন।বিষয়টি বুজতে পেরে গৃহবধূর শাশুড়ী নেশফুল বেগম গত ১২ মে শরীফ,পিতা-বুলু,জাহিদ -পিতা আলম,আসমাউল পিতা ইব্রাহিম,ইমরান-পিতা রবি সর্ব সাং ভাজনপুর কে আসামী করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং তদন্ত ভার দেওয়া প্রেমতুলি পুলিশ ফাঁড়িকে। অথচ অভিযোগের ৭ দিন গত হলেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী প্রেমতুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) জানান,বিষয়টি আমি জানি না কোন অফিসারের কাছে তদন্ত ভার আছে।আমি যেনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত