বান্দরবানের লামা উপজেলায় চকরিয়া-লামা সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার চকরিয়া-লামা সড়কের কুমারী এলাকার ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল হকের বাগান বাড়িতে ডাকাতি করতে ডুকলে খবর পেয়ে পুলিশ-জনতা অভিযান চালিয়ে ওই ডাকাত সদস্যদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল আটক করা হয়েছে।
লামা থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার পালাকাটা ও ধনিস্যা এলাকার ৮/১০ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তাদের দলনেতা নাসিরের নের্তৃত্বে একটি ট্রাকে করে লামা সড়কে ডাকাতি করতে আসছে। পূর্বের ডাকাতি করা স্থানে পুলিশের টহল জোরদার থাকায় ডাকাত দল সড়কের কুমারী লাল গেইট স্থানে ট্রাক থেকে নেমে একটি মোটর সাইকেল ডাকাতি করে। পরে রাস্তার পার্শ্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল হকের বাগান বাড়িতে ডাকাতি করতে ডুকলে বাড়ির লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ওমরকে ফোন করলে তিনি পুলিশ ও স্থানীয় জনতাকে খবর দেন। সবাই মিলে বাড়ি ঘেরাও করলে ডাকাতরা গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। পরে পুলিশি টহল জোরদার করা হলে একটি মোটর সাইকেলে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আরো তিন ডাকাতকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চিরিঙ্গা বিমানবন্দর জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা জাকারিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান প্রকাশ হাবিব (২৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার ২নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া গ্রামের (ঝাউতলা গাড়ি মাঠ) মনির হোসেনের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান (২২), একই এলাকার মনির আহমদের ছেলে মোঃ নাঈম উদ্দিন প্রকাশ মনতা (২০) ও মোঃ আলমের ছেলে মোঃ আকবর হোসেন (২৮)।
এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুধন চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে ৩৯৯/৪০২ ধারায় মঙ্গলবার লামা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা জানান, গণপিটুনির শিকার ডাকাত দলের সদস্য হাবিবুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয় এবং বাকী তিন আটকদের বিকালে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে। মামলায় আটক ৪ জন সহ এজাহার নামীয় আসামী সাত জন এবং অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। তাদের নিকট থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো টিপ ছুরি, ২টি লম্বা রামদা, একটি টর্চ লাইট, কাটা গাছ ও একটি সুজকি জিকজার মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে আটক করা হয়। কয়েক ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আটক ডাকাতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা সহ আশপাশের থানাগুলোতে আরও একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে চার ডাকাত আটকের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জনসাধারণ লামা থানা পুলিশকে ও ডাকাত আটকের বিষয়ে সহায়তা করা কুমারী এলাকার লোকজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত