নাইক্ষ্যংছড়িতে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ৪ সন্তানের জননী রাজিয়া বেগম।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হোছন আলীর মেয়ে রাজিয়া বেগম(২৫) এর সাথে ১৬-ই ডিসেম্বর ২০১৩ ইং সালে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়, একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়াড়ের খুইল্লা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৩৫) এর। তাদের দাম্পত্য জীবণে জন্ম নেই ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু কন্যা সন্তান এই কাল ডেকে আনে অসহায় রাজিয়া বেগমের সংসারে।
শুরু হয় যৌতুকের নির্যাতন। দাবি করা হয় যৌতুকের টাকা। অসহায় পিতা মেয়ের সংসার ও নাতির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করিলে আবার সুখে শান্তিতে চলছিল তাদের সংসার। তার মধ্যে জন্ম নেই আরও দুইটি সন্তান, পিতা হোছন আলী জানান, ‘‘চতুর্থ সন্তান গর্ভে রেখে ফের এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আবুল কালাম। আমি যৌতুকের টাকা দিতে না পারাই রাজিয়ার উপর নেমে আসে দু গুণ নির্যাতন। সেই নির্যাতনের প্রতিকার চেঁয়ে জনপ্রতিনিধি সহ সমাজপ্রতিদের দ্বারস্ত হয়েছি একাধিকবার। স্বামীর নির্যাতনের প্রতিকার চাওয়ায় গত, ১২-৩-২০২১ ইং তারিখে ফের আমার মেয়েকে, কিল-ঘুশি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আমার বাড়িতে পাটিয়ে দিলে, আমি নিরুপায় হয়ে গত, ১৩-৩-২০২১ইং সালে আমি বাদি হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করি। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা মামলা নাম্বার ৮। ধারা ২০০০ (সং/২০০৩) এর ১১ (খ). যাহা বান্দরবান বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। গত রমজানে স্ত্রী সন্তানের ভরনপোশণ ও আর আপোসের কথা বলে জামিনে মুক্ত হয় আবুল কালাম। তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নিজ বাড়িতে রেখে আপোসের চিন্তা করছিলাম আমরা। এক পর্যায়ে খবর পেলাম সে আবুল কালাম দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করছেন একই ইউনিয়নের চাকঢালা গ্রামের ১৪ বছর বয়সী ফাতেমা আক্তার কে। যাহা স্থানীয় মেম্বার ও গগণ্যমান্যরা জানেন’’। অসহায় ৪ সন্তানের জননী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘‘আমার পিতা দারিদ্র্য তার পক্ষে ৪ সন্তান সহ আমাদের ভরন পুষুন দেওয়া সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে আমি ৪ সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো ? কি খাব ? তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমার স্বামীর নির্যাতনের বিচার দাবী করছি।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত