মহালছড়ি উপজেলার কাপ্তাই হৃদের সকল এলাকায় সীমাবদ্ধ জলসীমার অন্তর্ভূক্ত কার্প জাতীয় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, বংশবিস্তার, মজুদ, হৃদের ভারসাম্য রক্ষার্থে ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে মহালছড়িসহ পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, বাজার জাতকরণ,শুকানো এবং মাছ ধরা পরিবহনের ওপর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে প্রতি বছরের ন্যায় আগামী ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বৈঠকে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র, রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট রাঙ্গামাটি নদী উপকেন্দ্র প্রধান মো. আজহার আলী, জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা উদয়ন বড়ুয়া, মাহফুজুর রহমানসহ খাত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস মুঠোফোনে বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেঙ্গীর অববাহিকায় অবস্থিত কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় জেলেকে গতবারের ন্যায় এবারও বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে স্থানীয়ভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেন জেলা প্রশাসক।
তবে মহালছড়ি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোেরেশন, কাপ্তাই হৃদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ আহমেদ জানান যে,১লা মে হতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কেউ যদি বিভিন্ন অসৎ উপায়ে কাপ্তাই হৃদ হতে মৎস্য আহরণ ও প্রক্রিয়াকরনের সাথে জড়িতে থাকলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রশাসন কর্তৃক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রদান করা হবে। তিনি আরো বলেন যে,এই কাপ্তাই হৃদের মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হয়, এরই দেশের বাইরে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। তাই সেই বিবেচনায় দেশের অন্য এলাকায় যেমন বংশবিস্তারের লক্ষ্যে ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য মাছ ধরা বন্ধ থাকে তেমনি কাপ্তাই হৃদের কার্পজাতীয় মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে সকল শ্রেণির পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান এই তিনটি মাস সম্পূর্ণরুপে সরকারকে সহযোগিতা করুন,নিজের ও সমাজের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহযোগীতায় এগিয়ে এসে অগ্রনী ভূমিকা রাখুন।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত