মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধুমনিঘাটের ত্রিপুরা পাড়ায় প্রতি বছরের ন্যায় সনাতনী ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী কর্তৃক আয়োজিত মহাবারুণী তীর্থ ও গঙ্গা স্নান উৎসব উপলক্ষে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মন্দিরের এলাকায় আজ ব্যাপক পূর্ণ্যার্থীদের অংশগ্রহণে নামকীর্তন চলছে।
গতকাল ২৯মার্চ মন্দিরের উৎসব উদযাপন পরিষদকে ৭০০লিটারের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের বিশেষ ওয়াটার টেইলর হস্তান্তর করা হয়।
উক্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানি না থাকায় মহালছড়ি জোন কর্তৃক কারবারি এবং পুরোহিত ৭০০ লিটার বিশুদ্ধ পানির জন্য মহালছড়ি জোন বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে মহালছড়ি জোন কর্তৃক প্রেরিত ওয়াটার টেইলর উদযাপন পরিষদের সভাপতি নকুল চন্দ্র ত্রিপুরা, মন্দিরের পুরোহিত রায়দাস ত্রিপুরা এবং কারবারি কর্মচান ত্রিপুরা কে পানির বুঝিয়ে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত যে, এলাকায় বেশিরভাগ সনাতনী ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ও বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মন্দিরে উৎসবের সময় দর্শনার্থীদের মাঝে এই জোন কর্তৃক পানি সেবা ২৯মার্চ হতে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বারুণী স্নান উপলক্ষে নামকীর্তন চলমান থাকবে।
তবে এই বিষয়ে উদযাপন পরিষদের সভাপতি নকুল চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, প্রতিবছর এমন বারুণী স্নান উপলক্ষে মহালছড়ি জোন থেকে জল সরবরাহ করে থাকেন,এবারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের পাশে দাড়িঁয়েছেন। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মহালছড়ি জোন কর্তৃপক্ষকে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে সনাতনীয় নারায়ণের নামে আন্তরিক ফুলেল শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য যে, হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। বাঙলা সনের প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে। এই স্নান টি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি অন্যতম পূন্য স্নান উৎসব হিসেবে বিবেচিত।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত