দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা সংকটে ফেরি চলাচলে সময় লাগছে দ্বিগুন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নদীপার হতে আসা অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এসব পণ্যবাহি ট্রাককে ফেরির নাগাল পেতে ঘন্টান পর ঘন্টা মহাসড়কে অপেক্ষায় থাকতে হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে অপচনশীল পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে।
নদীতে নাব্যতা সংকটের কারনে ফেরি চলাচলে কিছুটা বিঘ্র হচ্ছে।
পদ্মার পানির নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরির পল্টুন নিচে নামাতে হয় তাতে সময়িক ভাবের ঘাটে লোড অনলোড বন্ধ থাকে। ঘাটের সংযোগ সড়ক ও পল্টুনের উপর যানবাহনের জ্যাম থাকায় ফেরি থেকে যানবাহন লোড অনলোড করতে সময় লাগছে দ্বিগুন যার ফলে যানবাহনের দীর্য লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে ঘন্টার পর ঘন্টা লম্বা সারিতে আটকে থেকে তাদের সময়মত খাবার গোসল ও পায়খানা প্রস্রাবসহ প্রচন্ড রৌদের পুড়ে চরম ভৌগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও সহকারিদের।দীর্ঘ সময় মহাসড়কে আটকে থাকার কারনে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছিনতাইয়ের মত ঘটনা।
নাব্যতা সংকট সমাধানের জন্য নদীতে আরো এক মাস আগে ডেজিং মেশিন দিয়ে ফেরি চলাচলের চ্যানেলটি ঠিক করার দরকার ছিলো।
ট্রাক চালক কাশেম শেখ বলেন, কাল রাত ৯ টার দিকে ট্রাক নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এখন বেলা ১ টা বাজে ফেরি দেখা এখনো পেলাম না। কখন ফেরি দেখা মিলবে বলতে পারছি না। তিনি আরো বলেন ঘাটে ফেরি বাড়াতে হবে তা না হলো এই ঘাটে দিনের পর দিনে যানবাহনের জ্যামজট লেগেই থাকবে।
আরেক ট্রাক চালক জব্বার বলেন, আমি যশোর থেকে ট্রাকে কাঠ লোড করে রাত ১১ দিকে এসে পদ্মার মোড় এসে দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ি। এখন বেলা ১.৩০ মিনিট বাজে কখন যে ফেরির নাগাল পাবো বলতে পারছি না। তিনি আরো বলেন ভাই আমাদের দুরদশার কথা লিখে লাভ কি কিছুই হবে না। সারা বছরই এই ঘাটে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহনের জ্যামে আটকে থাকতে হয়। ফেরির দেখা কখন মিলবে বলা দুসকর। আমাদের কপাল কষ্টের কপাল ভাই।
বিআইডাব্লিউটিসি র ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন , এই নৌরুটে নাব্যতা সংকট যাতে না হয় সে জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ডেজিং মেশিন দিয়ে চ্যানেলটি কে ঠিক করা হচ্ছে। আমাদের ৭ টি ফেরি ঘাটের মধ্যে ৪ টি ঘাট সচল রয়েছে৩,৪,৫,৭ এই নৌরুটে ছোট বড় ২০ টি ফেরি চলাচল করছে এবং পরিবহন ও কাঁচামালবাহী ট্রাককে অগ্রধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
এম/এস
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত